প্রধান সংবাদ

সাহেদকাণ্ডে ক্ষুব্ধ শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার:
রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের অনিয়ম উদঘাটন এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে গ্রেফতারের পরও সমালোচকদের ভূমিকায় ক্ষেপেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

দলটির শীর্ষ নেতাদের ভাষ্যনুযায়ী, রিজেন্ট গ্রুপ ও সাহেদ করিমের অনিয়ম-অপরাধ সরকারই খুঁজে বের করেছে। সরকারই তাকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করেছে। এ ক্ষেত্রে সাহেদ করিমের দলীয় পরিচয়ও দেখা হয়নি। অথচ রিজেন্ট গ্রুপের অনিয়ম প্রকাশিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ ও সরকারের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের ঘনিষ্ঠতাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে এবং প্রচার করা হচ্ছে। এতেই ক্ষেপেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ‘সাহেদ করিমের অপরাধ উদঘাটন ও গ্রেফতারে অন্য কারও ভূমিকা নেই। গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সমালোচকরা এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও সরকারকেই দোষারোপ করছে। অথচ সাহেদ করিমকে গ্রেফতারে ধীরগতির বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপরই তাকে গ্রেফতারে তৎপর হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গত ৯ জুলাই সংসদ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘দুর্নীতি, অনিয়মের সঙ্গে জড়িত আমরা যাকেই পাচ্ছি এবং যেখানেই পাচ্ছি তাকে ধরছি। আর ধরছি বলেই, চোর ধরে যেন চোর হয়ে যাচ্ছি। আমরা ধরি আবার আমাদেরকেই দোষারোপ করা হয়। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য। এর আগে তো দুর্নীতিটাই নীতি ছিল। অনিয়মটাই নিয়ম ছিল। সেভাবেই রাষ্ট্র চলেছে। যতদূর পারি শুদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এই অনিয়মগুলো আমরা নিশ্চয়ই মানব না।’

সাহেদ করিম ইস্যুতে আওয়ামী লীগ নেতাদের কেউ কেউ আকারে ইঙ্গিতে গণমাধ্যমের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, সাহেদ করিমের উত্থানে গণমাধ্যমের ভূমিকাও কম ছিল না। আওয়ামী লীগ ও সরকারের শীর্ষ স্থানীয়দের সঙ্গে সাহেদ করিমের যে সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, এ রকম ছবি গণমাধ্যমের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গেও রয়েছে।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button