কানিজ কাদীরের ভ্রমণ কাহিনি ‘মাদুরাই’ (পর্ব-২৩)
পূর্ব প্রকাশের পর-
আমরা বীচে ঢুকেছি ‘গান্ধীজি সাইটিং স্পট’ এলাকা দিয়ে। বীচে বেশ কিছুক্ষণ থাকলাম। বীচে এসে জানলাম এটার নাম মীনারা বীচ নয় এটা ‘মেরিনা’ বীচ। ‘কন্যাকুমারী’ বীচ অনেক দূরে তাই আমরা চেন্নাই এর সবচেয়ে বড় বীচ ‘মেরিনা’বীচ অবশ্যই দেখে যাব এই প্ল্যান করেছিলাম । মেরিনা সমুদ্র সৈকত শহরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ যা পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতগুলির একটি। মেরিনা সমুদ্র সৈকত চেন্নাই, তামিলনাড়ু,ইন্ডিয়ার একটি প্রাকৃতিক শহুরে সমুদ্র সৈকত। মেরিনা সৈকত মূলত বালুকাময়। ১৮৮৪ সালে এই সমুদ্র সৈকতে পায়ে হেঁটে ভ্রমণে আনন্দের জন্য অনেক স্থাপনা সৃষ্টি করা হয়। তার মধ্যে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস, স্বামী বিবেকান্দসহ অনেক নামকরা ব্যক্তিদের স্ট্যাচু আছে। মহাত্মা গান্ধী, ভিরুভল্লবরের মত ভারতীয় কিংবদন্তির মূর্তি দিয়ে অলংকৃত করা হয়েছে এই সৈকত। টুরিস্টদের জন্য মেরিনা সমুদ্র সৈকত একটি প্রধান আকর্ষনের জায়গা। এই মেরিনা সমুদ্র সৈকতে ঘোড়ার পিঠে চড়ে ভ্রমণের ব্যবস্থা আছে। ছেলেরা ঘুড়ি উড়িয়ে আর ক্রিকেট খেলে আনন্দে মেতে উঠে এখানে। এখানে জয় রাইডস, মেরি-গো-রাউন্ড ইত্যাদি নানা খেলার ব্যবস্থা আছে। এই সমুদ্র সৈকতে অনেক তামিল ছবির দৃশ্যও ধারণ করা হয়। সমুদ্র সৈকতের শিশু শ্রমিকদের নিয়ে ২০১২ সালে তামিল মুভি ‘মেরিনা’ তৈরি করা হয়। মেরিনা সমুদ্র সৈকত চেন্নাই এর অন্যতম জনবহুল সমুদ্র সৈকত। এখানে পানির অন্তর্নিহিত স্রোত খুব অশান্ত হওয়ার কারণে সৈকতে স্নান এ সাঁতার কাটা বিপদজ্জনক এবং আইনত নিষিদ্ধ।
‘মেরিনা সমুদ্র সৈকত’ এর অকৃত্রিম সৌন্দর্য ও প্রফুল্ল পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। বালুকাময় সমুদ্র সৈকতে বসে আমরা সমুদ্রের নীল ঢেউয়ের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করলাম। অপূর্ব লাগলো।
মেরিনা বীচ থেকে সরাসরি শহরের মার্কেটে যাবো ভাবলাম। যেতে যেতে চেন্নাই শহরটা দেখছিলাম চেন্নাই শহরটা বেশ গোছানো। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মনে হলো। অনেক আর্কিটেকচারাল বিল্ডিং দেখতে পেলাম। ‘চেন্নাই’ এর নাম আমাদের অনেক পরিচিত। বাংলাদেশ থেকে এখানে অনেকই চিকিৎসার জন্য আসে। আমরা আসার সময় চেন্নাই ঘুরে আসবো এটা আমাদের প্ল্যান ছিল। আর তামিল নাড়ুর রাজধানী ‘চেন্নাই’ এটা মাদুরাই এসেই জানতে পারলাম। ‘মাদুরাই’ এসে চেন্নাইও দেখা হলো এটা আমার জন্য একটা বড় সুযোগ। চেন্নাই শহর সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।
(চলবে)