প্রধান সংবাদ

করোনায় একদিনে মৃত্যু ৪৫, আক্রান্ত ৩২৪৩

স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাসে দেশে নুতন করে আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩২৪৩ জন। শুক্রবার করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ হাজার ৩২৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৪৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৮টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ২৪৩ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩৫ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৫ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ১হাজার ৩৮৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৮১ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৪২ হাজার ৯৪৫ জন।

মৃত ৪৫ জনের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। এদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ৪ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে।

তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগে ১ জন, সিলেট বিভাগে ১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩১ জন এবং বাসায় ১৪ জন মারা গেছে।

এদের মধ্যে হাসপাতালে ৩১ জনের এবং বাড়িতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button