প্রধান সংবাদ

এলাকাভিত্তিক ক্লাস্টার লকডাউন দেয়া হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার লকডাউন এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বুধবার সকাল ১১টার দিকে পরীক্ষামূলকভাবে চলমান লকডাউনকৃত এলাকা পূর্ব রাজাবাজার পরিদর্শন করেন তারা।

এ সময় সাংবাদিকদের এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে পুরো দেশকে লকডাউন করতে পারি না। এজন্য সংক্রমণের হার নিরূপণপূর্বক এলাকাভিত্তিক ক্লাস্টার করে লকডাউন করা হবে। এটাই সবচেয়ে উপযোগী পন্থা। এ ইস্যুতে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা একযোগে কাজ করছে।

তিনি বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলর ইরান ও ডিএনসিসি মেয়র নিবেদিতভাবে সার্বক্ষণিক পূর্ব রাজাবাজারের লকাডাউন পরিস্থিতি তদারকি করেছেন। আমি নিজেও সার্বিক বিষয় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন- মেয়রের নির্দেশে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য এখানে স্ট্যান্ডবাই একটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে। রাজাবাজার আমাদের অন্যান্য নতুন লকডাউন এলাকার জন্য মডেল হিসেবে কাজ করবে। আপনারা জানেন যে এখানে আমরা মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা রেখেছি। যারা ক্রয় করতে পারছেন না, দরিদ্র মানুষ, তাদেরকে বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য দেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। আর যারা স্বচ্ছল পরিবার তাদেরকে চাহিদা অনুযায়ী খাবার ক্রয় করে হোমডেলিভারি দেয়া হচ্ছে।

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শুরু থেকেই নিয়মিত এ এলাকাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা খোঁজ রাখছি। আমরা টেকনিক্যাল কমিটিকে বলেছি, নতুন যে জোনিং করা হচ্ছে, সেটি কীভাবে আরও সুনির্দিষ্ট করা যায়, স্বাস্থ্য অধিদফতর সে বিষয়ে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, তবে এ মুহূর্তে আমাদের দরকার, সামাজিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসা। সাধারণ জনগণ যখন এগিয়ে আসবে, এলাকাবাসী যখন নিজেদের এলাকাকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবে, তখনই আমরা সফল হব।

তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির কাউন্সিলর, সেনাবাহিনী, পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন সবাই একযোগে কাজ করছি। আমি বিশ্বাস করি, আমরা পরবর্তীতেও যেসব এলাকা লকডাউন করব, সেসব এলাকার জনগণ যদি আমাদের নির্দেশনা মেনে চলে, আমাদের সহায়তা করে তবে আমরা নিজেরা রক্ষা পাব, জনগণ রক্ষা পাবে, রক্ষা পাবে পুরো বাংলাদেশ। এভাবে আমরা ঢাকা শহরসহ অন্যান্য যেসব এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেশি সেখানে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সারা বাংলাদেশের ব্যাপক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, চীনের যে বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন, তারাও এলাকাভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নের কথা বলছে। এ কারণে এলাকাভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। এটাই এখন সর্বোত্তম পন্থা, আমরা কার্যকরভাবে সেটা বাস্তবায়ন করব, ইনশাআল্লাহ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ইরান প্রমুখ।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button