প্রধান সংবাদ

আইভী ছিলেন সম্মুখসারির যোদ্ধা: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে আইভী রহমান ছিলেন সম্মুখসারির যোদ্ধা। আওয়ামী লীগের প্রতিটি সভা-সমাবেশে আইভী রহমান সাধারণ কর্মীদের সাথেই বসতেন।

আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে তার ১৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে নিয়মিত সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ওই গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের আরো ২১ নেতা-কর্মী নিহত হয়। আমি আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগের ওই ২২ নেতা-কর্মী বিশেষত আইভী রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ও তাদের স্মরণ করছি, যারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভী রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ২৪ আগস্ট মারা যান।

শেখ হাসিনা বলেন, তার মতো এমন একজন চমৎকার নিরহংকারী মানুষের মৃত্যুকে মেনে নেয়া খুবই কষ্টের। আওয়ামী লীগ আইভী রহমান স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। আমরা দীর্ঘদিন একসাথে রাজনীতি করেছি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ২৪ আগস্ট আইভী রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে, কারণ ২০০৪ সালের এই দিনেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা জানতেও পারিনি আমাদের এই নেত্রী কখন মারা গেছেন। কারণ, ২১ আগস্ট ঘৃণ্য ওই গ্রেনেড হামলার পর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার সমন্বিত সামরিক হাসপাতালে সিএমএইচ নিয়ে যাওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আরো বলেন, ২১ আগস্টের ওই গ্রেনেড হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের চার নেত্রীসহ আমাদের ২২ নেতাকর্মী প্রাণ হারান।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে দুই জনকে শনাক্ত করা যায়নি। কেউ তাদের লাশ নিতেও আসেনি। তারা সন্দেহজনক হামলাকারী হতে পারে অথবা অন্য কেউও হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, আমরা এই গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। এতে আমাদের আরো ৬শ’ থেকে ৭শ’ নেতাকর্মী আহত হয়েছিলেন। আহতদের অবস্থা ছিল গুরুতর। অনেকেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও মারা যান। কারণ, তারা দেহে গ্রেনেডের স্প্রিন্টার বহন করছিলেন।

এ সময় মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

চিত্রদেশ//এল//

Related Articles

Back to top button