প্রধান সংবাদ

বয়ান-ইবাদতে চলছে ইজতেমার দ্বিতীয় দিন

গাজীপুর প্রতিনিধি:
ইবাদত-বন্দেগি, তাশকিলে তামিল, ধর্মীয় আলোচনা, তাসবিহ-তাহলিল আর তাবলিগের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন। আজ ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান। আগামীকাল আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই পর্বের ইজতেমা।

বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারের ইজতেমায় বেশিসংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করায় মূল ইজতেমা ময়দান ছাড়িয়ে সড়ক, সড়ক দ্বীপ এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক মুসল্লি। প্রচণ্ড শীত ও কনকনে হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে ধর্মীয় বয়ান শুনছেন তারা। অর্ধশতাধিক দেশের দুই হাজার বিদেশি মেহমান ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন।

দ্বিতীয় দিনে শুধু তাবলিগ কর্মকাণ্ডের ওপর আলোচনা এবং জোটবন্দি হয়ে তাবলিগের ওপর আলোচনাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আগামীকাল রোববার ভোর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এয়ারপোর্ট থেকে জয়দবেপুর চৌরাস্তা, ঢাকা-সিলেট সড়কের গাজীপুর সদরের মীরের বাজার থেকে টঙ্গী ও আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কের আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাস সড়ক পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে।আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সব আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন টঙ্গীতে যাত্রাবিরতি করবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।

গতরাতে ইজতেমায় আগত আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থতাজনিতসহ বিভিন্ন কারণে তারা মারা গেছেন বলে জানা গেছে। ফজরের নামাজের পর তাদের তিনজনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গত রাতে মৃত্যুবরণকারী মুসল্লিরা হলেন, রাজশাহীর আব্দুর রাজ্জাক, কুমিল্লার আব্দুল তমিজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. শাহজাহান। এ নিয়ে এবারের ইজতেমায় সাত মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।

ইজতেমার আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বাদ জোহর মাওলানা ইসমাইল, বাদ আসর ভারতীয় মাওলানা জুহাইরুল হাসান এবং বাদ মাগরিব মাওলানা ইবরাহিম দেওলা বয়ান করবেন।

ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে আট হাজার পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। তবে মুসল্লিদের সমাগম বেশি হওয়ায় বাইরে অবস্থানরত হাজার হাজার মুসল্লি ভোগান্তিতে পড়েছেন। ওজু, গোসলসহ দৈনন্দিন কাজে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগত সহস্রাধিক বিদেশি মেহমানের আরামদায়ক অবস্থান ও চাহিদা অনুযায়ী মেহমানদারি করা হচ্ছে। বিদেশি নিবাসে কোনো ধরনের সমস্যা যেন না হয় সেজন্য সব সময় ইজতেমার মুরব্বিদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তাবলিগ জামাতে গত কয়েক বছর ধরে আভ্যন্তরণী দ্বন্দ্ব চলছে। এমনকি তা প্রকাশ্যে সহিংস রূপও নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত দুই বছর ধরে দুই পক্ষকে দুই পর্বে ইজতেমার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। এবার প্রথম পর্বে ইজতেমা করছেন দিল্লির মাওলানা সাদের বিরোধী পক্ষ। এই পক্ষের সঙ্গে রয়েছে দেশের সিংহভাগ আলেম-উলামা। আর পরের সপ্তাহে ইজতেমা করবেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা। বাহ্যত ইজতেমা দুই পর্বে বলা হলেও মূলত দুই অংশের নেতৃত্বে পৃথক পৃথক ইজতেমা হচ্ছে।

বিনিয়োগ বার্তা//এল//

 

Related Articles

Back to top button