চট্রগ্রামে তিন দিনব্যাপী চতুর্থ এসএমই ফেয়ার শুরু
চট্রগ্রাম প্রতিনিধি:
দেশের তরুণদের চাকরি না খুঁজে সরকারি, বেসরকারি প্রশিক্ষণ, সুযোগ কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বারের তিন দিনব্যাপী চতুর্থ এসএমই ফেয়ারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কয়েক বছরে একটানা ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। সরকার ব্যবসাবান্ধব। অর্থনীতির বড় খাত আরএমজি। দ্বিতীয় হচ্ছে লেদার গুডস। কিন্তু দুই খাতের মধ্যে অনেক পার্থক্য। তাই সরকার আইটিসহ ৪টি খাতের উন্নয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে।
চট্টগ্রামকে আমি ভালোবাসি। অনেকবার এসেছি চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক ইতিহাস শতবছরের বেশি। চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, এসএমই মেলার আয়োজন, কাস্টম হাউসে অটোমেশন চালু, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম চেম্বার।
এসএমই ফেয়ারে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য।চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের ৮০ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠা আছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাঝারি উদ্যোক্তায় পরিণত করতে চাই আমরা। জাপান ও চীনে প্রচুর এসএমই উদ্যোক্তা আছেন। তাই তাদের অর্থনীতি শক্তিশালী। তাদের টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, এসএমই খাতের নারী উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ দিতে হবে। পণ্যের গুণগতমান ও ভ্যালু বাড়াতে সরকারি বেসরকারি গবেষণা, পরামর্শ, সহযোগিতা দরকার।
রাঙামাটির কোমর তাঁত, রংপুরের শতরঞ্জিসহ অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এসএমই ফেয়ারে নিজস্ব পণ্য নিয়ে এসেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক একেএম মহিউদ্দিন আজাদ বলেন, এসএমই খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ মেলা এসএমই খাতের বিকাশে ভূমিকা রাখবে।
স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, শতবর্ষী এ চেম্বার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসএমই ফেয়ারের আয়োজন। এটি চতুর্থ আয়োজন। আশাকরি সবার অংশগ্রহণে এ মেলা সফল হবে।
ধন্যবাদ বক্তব্য দেন চেম্বার পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন। এমটিবি, এসআইবিএল, এনসিসি, সিটি, ইউসিবি, মার্কেন্টাইল, ঢাকা ব্যাংকের স্টল রয়েছে মেলায়।
এসএমই ফেয়ারে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য। ‘সম্মিলিত উদ্যোগ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ স্লোগানের এ মেলায় জলরং, এসআর হ্যান্ডিক্রাফটস, থ্রি টেক, অ্যানেক্স বাংলাদেশ, জরিফ এন্টারপ্রাইজ, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার, কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ, এফএম প্লাস্টিক, এশিয়ান টুরিজ্যম, ঐক্য স্টোর, অমৃত ফুড, মাহি অ্যাগ্রো, গ্রো বিজ ইন্ডাস্ট্রিজ, শতরঞ্জি পল্লি রংপুর লিমিটেড, শামশাদ, রেহা টেক্সটাইল, স্বীকৃতি বুটিক অ্যান্ড হ্যান্ডিক্রাফট, ফ্রু ফ্রূ চো ফ্যাশন, মম জামদানি হাউস, নিয়ন্তা বুটিক, কানিসকা, শখ ক্রাফটস, বুনি সুতা, পিপলস ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস, দয়িতা জুয়েলারি, কেএসএফ ট্রেডার্স, সিফাত বুটিক, ভাড়াগাড়ি.কমের স্টল রয়েছে।
মেলায় হাতে তৈরি আকর্ষণীয় সব চামড়ার ব্যাগ, বেল্ট, মানিব্যাগ, জুতো, গহনা, শাল, জামদানি ও তাঁতের শাড়ি, ফতুয়া, বিষমুক্ত শুঁটকি, প্লাস্টিক পণ্য, খাদ্যপণ্য, শিল্পকারখানার যন্ত্রপাতির স্টল রয়েছে।
নওগাঁ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের স্টলে মামনুর রশিদ জানান, চাল, চিনি, চা পাতা, চানাচুর প্যাকিং মেশিন, রুটির খামির মিকশ্চার, কেকের খামির মিকশ্চার মেশিন পাওয়া যাচ্ছে আড়াই থেকে পাঁচ লাখ টাকায়। একই ধরনের মেশিনারি যন্ত্রপাতি মিলছে ইমটেক্স প্যাকেজিংয়ের স্টলেও।
চিত্রদেশ //এস//