প্রধান সংবাদ

চীন থেকে আসা সাড়ে ৭ লাখ ভ্রমণকারীই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কাল হলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) এখন মারাত্মক শিকারে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ওয়ার্ল্ডওমিটারসের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, দেশটিতে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৭৭ হাজার ১১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৭ হাজার ৩৯২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ২৮৩ জন।

ট্রাভেল ডেটা বলছে, করোনার দাপটকালীন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন (৩৪ লাখ) ভ্রমণকারী। এসব দেশের মধ্যে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন, ইতালি ও স্পেন রয়েছে।

এসব দেশের মধ্যে ইতালিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণ (১৪ হাজার ৬৮১) নিয়েছে করোনা। প্রাণহানির দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্পেন (১১ হাজার ১৯৮)।

করোনার ক্রান্তিকাল ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি-এই তিন মাসে কীভাবে লাখ লাখ ভ্রমণকারী (যাদের করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়নি) যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে তার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্য বিভাগ।

তবে দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কল্পনাই করতে পারেনি যে, গোপনে করোনা বহনকারী বিদেশ থেকে আসা এসব নাগরিকই তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত করা হয় এবং তখন কেবল এটি দেশটিতেই সীমাবদ্ধ ছিল।

তবে অভিযোগ রয়েছে, প্রথম থেকেই করোনার তথ্য গোপন করেছে বেইজিং। আর ডিসেম্বর নয়, তার আগেই দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। এভাবে তাদের মাধ্যমেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল ডেটা বলছে, ৩১ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার আগে ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৪৯৩ জন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন চীন থেকে। ইতালি থেকে এসেছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪০২ জন। আর স্পেন থেকে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময় ব্রিটেন থেকে এসেছে সবচেয়ে বেশি, ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন (১৯ লাখ)

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশ থেকে আসা এসব ব্যক্তিদের আসলে কতজন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন তা নিণর্য় করা মুশকিল। তবে এটা সত্য যে, তাদের কিছু অংশের কোনো উপসর্গই ছিল না।

এসব নাগরিকদের সবচেয়ে বেশি গেছেন নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস ও সিয়াটলের বড় বড় শহর। তবে আশঙ্কার কথা হলো, তারা সংখ্যায় এত বেশি যে, ধারণা করা হচ্ছে তারা অন্যান্য শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছেন।

১১ মার্চ করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২ ফেব্রুয়ারি চীন থেকে আসা ও যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প।

তবে ডেটা বলছে, ওই মাসে এবং মার্চে চীন থেকে দেশে ফিরে আসেন ১৮ হাজার মার্কিনি। আর অন্যান্য মাসে এসেছেন ২ লাখ ২৮ হাজার আমেরিকান।

সূত্র : ডেইলি মেইল

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button