দরিদ্র দেশের ভ্যাকসিন সহায়তায় নামছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ক্ষমতাগ্রহণের প্রথমদিন থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত নীতিগুলো কাটাছেঁড়া শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্টের চেয়ারে প্রথমবার বসেই বাতিল করেছেন মুসলিম দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা, যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়েছেন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায়। এবার দরিদ্র দেশগুলোর জন্য করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিতকরণে কোভ্যাক্স পরিকল্পনারও অংশ হতে চলেছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ডা. অ্যান্থনি ফউসি বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডব্লিউএইচওর নির্বাহী বোর্ডকে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন শিগগিরই একটি নির্দেশনা জারি করবেন, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোভ্যাক্সে যোগদানের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভি ও সিইপিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বিশ্বের সব দেশের জন্য করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এ পরিকল্পনার অংশ হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুধু তাই নয়, প্রথমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অনুদান বন্ধ, পরে সংস্থাটি থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনার ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
তার দাবি, করোনাভাইরাস মহামারির সময় সাধারণ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষ করে, করোনার উৎস চীনের প্রতি সংস্থাটির পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন তিনি।
গত বছরের জুলাইয়ে ১৯৪৮ সালে যোগ দেয়া জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বাইডেন।
বিশ্বের মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী যুক্তরাষ্ট্রে এপর্যন্ত চার লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথমদিনই নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এছাড়া মহামারির বিষয়ে পদক্ষেপের সমন্বয় করতে একটি আলাদা দফতরও গড়ে তোলা হবে।
সূত্র: আল জাজিরা
চিত্রদেশ//এইচ//