বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে সর্বস্তরের জনতার ঢল
স্টাফ রিপোর্টার:
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে সকালে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শহীদ বুদ্ধীজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরকার প্রধান হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবেও দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ সমাধিতে ফুল দিয়ে পুনরায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের পর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।
এরপর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষের ফুলে ফুলে ভরে উঠতে থাকে। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে লাল-সবুজের পতাকা ও বাহারি সব ফুল হাতে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
১৯৭১ সালের এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি হানাদাররা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ছাড়াও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতেও শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হচ্ছে।
চিত্রদেশ//এস//