৩৬ বছরে মাধুরী দীক্ষিত, ভক্তদের জানালেন অজানা কথা
বিনোদন ডেস্ক:
বলিউডের নন্দিত অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। আশির দশকের শেষদিকে তার পর্দায় আগমন। তবে নামের রোশনাই ছড়িয়েছে নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে। শ্রীদেবী-মীনাক্ষীর মতো উপমহাদেশ মাতানো নায়িকাদের রাজত্বে হানা দিয়ে সেরার আসন দখল করেছিলেন মাধুরী।
সেজন্য তাকে লড়াই করতে হয়েছিলো নিজের সঙ্গেই। তাপস পালের বিপরীতে ক্যারিয়ার শুরু করা মাধুরীর প্রথম প্রায় ৫-৬টি সিনেমাই ফ্লপ। এমন শুরুতে হয়তো যে কোনো মানুষই হতাশ হয়ে পড়বেন। মাধুরীও হতাশ ছিলেন। সাফল্য পাওয়ার জন্য মরিয়াও ছিলেন। তাই বিনোদ খান্নার মতো সিনিয়র নায়কের সঙ্গে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন। তাতেও লাভ হয়নি। সময়টা এতোই খারাপ হয়ে আসে যে বাধ্য হয়ে শেখর সুমনের বিপরীতে তিনি বি গ্রেডের ছবিতেও কাজ করেছেন।
তবু হাল ছাড়লেন না। রূপ তার ছিলোই। হাসি তার হৃদয় দোলানো। মায়াবী চোখের সেই হাসি জয় করতে জানে পুরুষের মন। অভিনয়ে মাধুরী সাবলীল সেই প্রথম সিনেমা থেকেই। আর নাচে তার সঙ্গে পাল্লা দেয়ার মতো নায়িকা তখন খুব বেশি ছিলো না। স্বভাবতই, নিজের উপর ভরসা হারালেন না মাধুরী। লেগে রইলেন।
সেই হার না মানা মাধুরী সাফল্য পেলেন অবশেষে। মিঠুন চক্রবর্তী, ঋষি কাপুরদের সঙ্গে জ্বলে উঠলেন তিনি। এরপর অনিল কাপুর, সঞ্জয় দত্ত, শাহরুখ খান, আমির খান, সালমান খান, অক্ষয় খান্না, অক্ষয় কুমারদের সঙ্গে জুটি হয়ে বলিউডে রাজত্ব করেছেন স্বমহিমায়।
সংগ্রামী সেই জীবনের ৩৬ বছর পূর্ণ হলো ১০ আগস্ট। বলিউডে মাধুরীর প্রথম সিনেমা ‘অবোধ’ মুক্তি পায় ১৯৮৪ সালে। এই ছবিতে তার চরিত্রের নাম ছিল ‘গৌরী।’ বিশেষ এই দিন উপলক্ষে মাধুরী ভক্তদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন। তাদের অনেক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন অজানা সব কথা।
এক ভক্ত মাধুরীকে প্রশ্ন করেন বলিউডে তার স্মরণীয় মুহূর্ত সম্পর্কে। তিনি জবাবে বলেন, ‘আমার প্রথম ছবি ‘অবোধ’। সে ছবির জন্য প্রথম যে শটটি দিয়েছিলাম সেটাই সবচেয়ে সেরা। স্বপ্নের মতো লাগছিল যে সিনেমায় কাজ করছি।’
আরেক ভক্ত প্রশ্ন করেন নিজের অভিনীত কোন গানটি সবচেয়ে প্রিয় মাধুরীর। নায়িকা জানান, ‘তেজাব’ ছবির ‘এক দো তিন’ তার সবচেয়ে প্রিয় গান। এছাড়াও জানান, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ তার নিজের অভিনীত সবচেয়ে প্রিয় সিনেমা।
‘জনপ্রিয় অভিনেত্রী না হলে এখন কী করতেন?’- এক ভক্তের মজার এই প্রশ্নের জবাবে মাধুরী জানান, অভিনয়ে না আসলে জেনেটিক্স নিয়ে গবেষণা করতেন তিনি।
মাধুরী আরও জানান, তার জীবনের স্মরণীয় তিনটি মুহূর্ত হলো প্রথম হিট সিনেমা, বিয়ে এবং সন্তানের মা হওয়া।
চিত্রদেশ//এফ//