অন্যান্য

‘বাংলাক্রাফট’কে নতুনভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই: রাজিয়া সুলতানা

৪০ বছরের পুরনো সংগঠন বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বাংলাক্রাফট)। এই সংগঠনে মেম্বার রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪’শ । যারা হস্তশিল্প নিয়ে দেশের উন্নয়নে নিরলশ কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাক্রাফটের বিভিন্ন কার্যক্রম ও বাংলাক্রাফটের মেম্বারদের উন্নয়নের জন্য সংগঠনটির ভবিষৎ পরিকল্পনা নিয়ে সম্প্রতি ‘চিত্রদেশ ডটকমে’র সঙ্গ কথা হয় বাংলাক্রাফটের নব নির্বাচিত কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজিয়া সুলতানার। সাক্ষাতকার নিয়েছেন – লাভলী হক লাবণ্য

চিত্রদেশ: বাংলাক্রাফট’র নতুন কমিটির আপনিতো ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন? তো এই ৪ মাসে আপনারা কি কি কর্মসূচী পালন করেছেন?

রাজিয়া সুলতানা: আমরা ইলেকশনের সময় একটি ১০০দিনের কর্মপরিকল্পণা বা কর্মসূচী হাতে নিয়ে ছিলাম। কিছু এজেন্ডা ছিল। এরই মধ্যে আমরা কিছু কাজ করতে পেরেছি। যেমন বাংলাক্রাফট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৪০ বছর ধরে। কিন্তু এ পর্যন্ত বাংলাক্রাফটের নিজস্ব কোন অফিস ছিলনা। আমরা নব নির্বাচিত কমিটি সম্প্রতি বাংলাক্রাফটের একটি নিজস্ব ভবন নিয়েছি। ২৭০০ স্কয়ার ফিটের। ঢাকার পান্থপথে এবং এটা বাংলাক্রাফটের নিজস্ব অর্থায়নে করা হয়েছে। প্রথম এজেন্ডা কমপ্লিট করেছি। এছাড়াও আমাদের মেম্বারদের ব্যবসায়িক উন্নয়নের জন্য ওয়ার্কশপ করার কথা ছিল। সেটাও হয়েছে। সম্প্রতি অ্যামাজান ও ইক্যাবের সঙ্গে এমইও সাইন করতে যাচ্ছি। এরপর থেকে যতকাজ বা প্রোগ্রাম হবে সবই বাংলাক্রাফট ও ইক্যাব একসঙ্গে কাজ করবে। বাংলাক্রাফটের এন্টাপ্রেনারদেরকে ডেভেলপমেন্ট/ স্কিল করার জন্য বিডার চেয়্যারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে । উনারাও বাংলাক্রাফটের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। নতুন কমিটি নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপ অথরিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা হয়েছে। উনি বাংলাক্রাফটের মেম¦ারদের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাক্রাফটের একটি দাবি হলো একটি ডিজাইন হাউস (ইনস্টিটিউট) এবং হোলসেল একটা মার্কেট করতে চাই। এরই প্রেক্ষিতে আমরা বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছি। বাংলাক্রাফটের ভবনের জন্য উনি বলেছেন বাংলাক্রাফটের ডিজাইন হাউজ করার জন্য পূর্বাচলে জমি দেবেন।

চিত্রদেশ: বাংলাক্রাফটে কতজন মেম্বার রয়েছেন?

রাজিয়া সুলতানা: বাংলাক্রাফটে প্রায় সাড়ে চার শো’র উপরে মেম্বার রয়েছে।

চিত্রদেশ: বর্তমানে বাংলাক্রাফটের কার্যক্রম কী?

রাজিয়া সুলতানা-

রাজিয়া সুলতানা: সম্প্রতি চট্রগ্রামে –’চট্রগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাক্রাফট বছরে সারাদেশব্যাপী ৪টি ফেয়ার করবে। প্রথমেই ঢাকায় ২০২০ সালের শুরুতেই ফেয়ার করার ইচ্ছে রয়েছে।

আগামিতে দেশের বাইরে বাংলাক্রাফটের মেরা করার পরিকল্পণা রয়েছে। এছাড়ারও ইউরোপ কাণ্ট্রিতে আমরা (বাংলাক্রাফট) মেলা করতে যেতে চায়।

চিত্রদেশ: বাংলাক্রাফটের পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাই?

রাজিয়া সুলতানা: বাংলাক্রাফট নতুন অফিসে উঠবে। তারপর পরবর্তীতে কাজের বিষয়ে প্ল্যান করবো। এছাড়াও নতুন কমিটির প্ল্যান রয়েছে বাংলাক্রাফটকে নতুনভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরা। একই সঙ্গে আমরা নব-নির্বাচিত কমিটি আরো নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করবো। তাদেরকে স্কিল করে তাদের দিয়ে এক্সপোর্ট করানো। বাংলাদেশে রপ্তানিকারক বাড়ানো।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button