অপরাধ ও আইনপ্রধান সংবাদ

সেই কলেজশিক্ষকের স্বামীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ের ছয় মাস পর শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনায় মামুনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্বজনরা।

শিক্ষিকার স্বজনদের দাবি, মামুন মাদকাসক্ত ছিল। এ ছাড়া নতুন একটি মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য খায়রুন নাহারকে মামুন চাপ দিত বলেও দাবি করেন তারা।

খায়রুন নাহারের ভাগ্নে নাহিদ বলেন, মামুন পুরাতন মডেলের একটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করত। নতুন মডেলের বাইক কিনে দেওয়ার জন্য খালাকে (খায়রুন নাহার) নিয়মিত চাপ দিত। যে কারণে তিনি সবসময় মানসিক বিষণ্নতায় ভুগতেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে মামুনের বাড়ি। স্থানীয়রা জানান, এলাকার বখাটেদের সঙ্গে সখ্য ছিল তার। এ ছাড়া মামুন নিয়মিত মাদক গ্রহণ করত।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই বছর আগে মামুনের বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মারা যান গজেন ঘোষ নামের এক ব্যক্তি। তখন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হলেও সেই মোটরসাইকেল এখনও থানায় আছে।

ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানায় আটকা মোটরসাইকেল উদ্ধারে মামুন ও তার পরিবারের সদস্যরা অনেকবার অনুরোধ করেছিল।

এর আগে, রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনকে আটক করেছে পুলিশ।

খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে কলেজছাত্র মামুন ও শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।

//আর//

Related Articles

Back to top button