শহীদ মিনার ঘিরে র্যাবের কড়া নিরাপত্তা, স্ট্যান্ডবাই হেলিকপ্টার
স্টাফ রিপোর্টার:
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় তিন ধাপে নিরাপত্তা দেবে র্যাব। বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে স্ট্যান্ডবাই থাকবে হেলিকপ্টার। এছাড়া আজিমপুর কবরস্থানে থাকবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
সকালে শহীদ মিনারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে বেনজীর আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাকে পাঁচটি সেক্টরে বিভক্ত করে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুরো এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ফুট পেট্রোলিং, বাইক ও কার পেট্রোল টিম থাকবে। সাদা পোশাকেও র্যাব সদস্যরা থাকবে।
তিনি বলেন, অমর একুশের আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে বহুমুখী নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। র্যাবের গৃহীত তিন ধাপের নিরাপত্তার মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত প্রথম ধাপ, এরপর থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপ এবং পরবর্তী সময়ে তৃতীয় ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্পেশাল ফোর্স রিজার্ভ থাকবে এবং র্যাবের হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আজিমপুর কবরস্থানে শহীদদের কবর ঘিরে র্যাবের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একুশের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় র্যাবের নজরদারি থাকবে।
কোনো ধরনের হুমকির আশঙ্কা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বেনজীর বলেন, বর্তমান জীবনে নিরাপত্তা অক্সিজেনের মতো। এখন এটাকে ভিন্নভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। আমেরিকার টুইন টাওয়ার বিপর্যয়ের পর থেকে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার বিষয়টি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। এটি এখন দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অংশ। এ ধরনের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যত বেশি নিরাপত্তা থাকবে, মানুষ তত স্বাচ্ছন্দ্যে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নেবে। নিরাপত্তার বিষয়টি এখন শুধু বাংলাদেশেরই বিষয় নয়, এটি বৈশ্বিক চিত্র। বাংলাদেশও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে। তাই নিরাপত্তার বিষয়টিকে অতিরিক্ত না দেখে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখা উচিত।
র্যাব প্রধান বেনজীর আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত হুমকির বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। র্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা অন্যসব গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও নজর রয়েছে। যে কোনো হুমকির বিষয়টি মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনে তা হালনাগাদ করা হবে।
চিত্রদেশ//এইচ//