প্রধান সংবাদবিনোদন

মাহির পর জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছা দূত পরীমণি

 

বিনোদন ডেস্ক
কিছুদিন আগে অনলাইন জুয়া কোম্পানির সঙ্গে নাম জড়ায় মাহিয়া মাহির। বিষয়টি সংবাদের শিরোনামেও আসে। সেই রেশ কাটতেই জুয়া কোম্পানির সঙ্গে নাম জড়াল পরীমণির। একটি অনলাইন জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে খবরটি নিজেই জানিয়েছেন।

আজ রববার নিজের ফেসবুকে পরী একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, হলে বসে সিনেমা দেখছেন পরীমণি। এমন সময়ে তাঁর মোবাইলে জুয়া কোম্পানি থেকে ১০ হাজার টাকা জেতার মেসেজ আসে। খুশিতে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। ফ্ল্যাশব্যাকে দেখা যায়, বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচে রোহিত শর্মার আউটে আনন্দ করছেন পরীমণি। এরপর তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘একটু (কোম্পানির নাম) আনন্দে মেতে উঠেছিলাম। তুমিও পারো আমার মতো টিম বানিয়ে ম্যাচ প্রেডাক্ট করে জিতে নিতে নানা উপহার। ওয়েবসাইটে চলে যাও আর পেয়ে যাও আরও তথ্য।’

এদিকে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনে জুয়া খেলা একেবারেই নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদে নৈতিকতা রক্ষায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১৮৬৭ সাল থেকে চালু প্রকাশ্য জুয়া আইন অনুসারে, কেউ টাকার বিনিময়ে বাজি বা জুয়ার আসর বসালে এবং কেউ তাতে অংশ নিলে তা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং প্রচলিত আইন অনুসারে সব ধরনের জুয়া বাংলাদেশে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

তবে বিষয়টি নিয়ে মোটেও বিচলিত নন পরীমণি। বিষয়টি নিয়ে আজনতে চাইলে উল্টো গলা চড়িয়েছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, কে বলেছে এটা জুয়া কোম্পানির ওয়েবসাইট? ভালো করে খোঁজ নিয়ে ফোন করুন।’

তবে ওই কোম্পানির ওয়েবসাইটে ঢু মেরে দেখা গেছে বিভিন্ন রকম লোভনীয় জুয়ার অফার চলছে সেখানে।

পরীমণির হাতে ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’-এর কাজ। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে বান্দরবানে সিরিজটি শুটিং শুরু হয়। সেখান থেকে বরিশাল হয়ে দুয়েক দিনের মধ্যেই ঢাকার লোকেশনে শুটিং শেষ হবে সিরিজটির।

Related Articles

Back to top button