প্রধান সংবাদস্বাস্থ্য কথা

বিশ্বে কমেছে সংক্রমণ, প্রাণহানি সাড়ে ৪ হাজারের নিচে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে পৌনে ১১ লাখে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে মেক্সিকো, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ইরান ও ব্রাজিল। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৩ কোটি ৫৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৪৬০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় দুই হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার ৬৬৬ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৬৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে দুই লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৭৭ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৬৯ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৬২ লাখ ৯১ হাজার ১৬৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৯২৭ জনের।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ২৪১ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২৩ হাজার ৩২৮ জন মারা গেছেন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ ও প্রাণহানি অনেক কমেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৪ জন এবং মারা গেছেন ১৮৯ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৭৩ হাজার ১১৯ জন মারা গেছেন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৫৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৮৭ লাখ ৬৮ হাজার ১০৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ১৯৫ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৫ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৯ লাখ ২৪ হাজার ১০২ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১৩ হাজার ৮১২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৭৯২ জন এবং মারা গেছেন ২০৬ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৬২৯ জন এবং মারা গেছেন ১৪৪ জন। পোল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৯০২ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন।

এছাড়া গত একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৬০০ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৯ হাজার ৩৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৫ জন মারা গেছেন। গত একদিনে কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০৮ জন এবং মারা গেছেন ৯৫ জন।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চিলিতে ১৩০ জন, আর্জেন্টিনায় ৭২ জন, ইরানে ২৪১ জন, জাপানে ২৫৯ জন, রোমানিয়ায় ৫৬ জন, ফিলিপাইনে ৫১ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২২৯ জন এবং পেরুতে ১৩১ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৩৩১ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৪ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

চিত্রদেশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button