বায়তুল মোকাররমে ঈদের ১ম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার:
এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এসেছে ঈদ। ঘরে ঘরে বইছে খুশির হিল্লোল। করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিধিনিষেধের মধ্যেই মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন হাজারও মুসলমান।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরে প্রথম তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লির নামাজে অংশ নিয়েছেন। তবে সড়কে ছিল ভিড়।
বায়তুল মোকাররমে প্রথম ঈদ জামাত হয় শুক্রবার সকাল ৭টায়। এত ইমামতি করেন মুফতি মিজানুর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করেন মুফতি মুহিববুল্লাহিল বাকী নদভী।
প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তৃতীয় জামাত হয় সকাল ৯টায়। এ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা এহসানুল হক।
চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায়। এ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম।
বেলা পৌনে ১১টায় পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খান।
কোনো জামাতে ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
সকাল ৬টা থেকে জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত আদায়ে ভিড় করে মুসল্লিরা। তাদের অনেকের হাতে ছাতাও দেখা যায়। মুসল্লিদের অনেকেই ফাঁকা ফাঁকা হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাড়াতে দেখা গেলেও অনেককে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করতে দেখা যায়। তবে মসজিদের প্রবেশ করা সবার মুখেই মাস্ক ছিল। এছাড়া জাতীয় মসজিদ এলাকায় এবং মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল। ব্যাগ নিয়ে আসা অনেককেই তারা তল্লাশি করেন।
ঈদ জামায়াতে শিশু ও বৃদ্ধদের অংশ না নিতে বলা হলেও দেখা গেছে অনেকে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের নামাজে এসেছেন। প্রবীণদেরও বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়তে দেখা গেছে।
মাইকে বার বার অনুরোধ জানানো হয়েছে যাতে সবাই দূরত্ব বজায় রেখে বসেন। প্রায় ভর্তি মসজিদের ভেতরে তা যতটা সম্ভব মেনে চলার চেষ্টা করেছেন সবাই।
ঈদুল ফিতরের নামাজে শেষে মহামারি থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় দোয়া করা হয়।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২৬ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশে বুধবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হচ্ছে।
চিত্রদেশ//এল//