বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বিমান চলাচলে চুক্তি
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে প্লেন চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলে আর বাধা রইলো না।
আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরবর্তীতে প্রেস রিলিজ দিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা নিউইয়র্ক রুটে আবার ফ্লাইট চালুর প্রত্যাশা আগে থেকেই করছিলেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছিলেন, টেকনিক্যাল কিছু সমস্যার সমাধান করতে পারলেই এ রুট আবার চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।
ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’ প্রথমবারের মতো শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মোহাম্মদ ইনামুল বারী বলেছিলেন, নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বিমানের সার্বিক পরিবর্তন আনবে। সেবার মান বাড়বে।
তিনি আরও বলেছিলেন, আর সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শাহজালালের ক্যাটাগরি পরিবর্তন হলেই আমরা প্রথমে টরেন্টো ও নিউইয়র্ক রুটে সেবা চালু করবো।
এদিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার জানিয়েছিলেন, ১৯৯৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি উড়োজাহাজ যেত। সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অস্থায়ী অনুমতিপত্রের ভিত্তিতে এই উড়োজাহাজ চলত। ২০০৬ সালে সরাসরি উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘এয়ার ট্রান্সপোর্ট এগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৩ সালে। ২০১৫ সালে এই চুক্তি স্বাক্ষরে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়। এরপর আরও ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার পর আজ এটি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার আরও জানান, এই চুক্তির অর্থ এই নয় যে চুক্তির পরদিন থেকেই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হবে। এর জন্য সময় লাগবে। বিশেষ করে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশনের শর্ত অনুযায়ী ক্যাটাগরি-১ উন্নীত হওয়ার বিষয়টি এখানে আছে। তবে এই চুক্তি ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রেও একটি অগ্রগতি বলা যেতে পারে।
চিত্রদেশ//এল//