প্রধান সংবাদ

ফের টার্মিনালে চাপ, বাড়ি ফেরার ধুম

স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন করতে যাচ্ছে সরকার। এমন ঘোষণার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ।

যাত্রীরা বলছেন, আগামী সোমবার থেকে লকডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। তাই এখন বাড়ি না গেলে রাজধানীতে আটকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগে ভাগে বাড়ি চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

শনিবার বিকেল ৩টা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস, সিএনজি, রিকশায় গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে যাচ্ছেন যাত্রীরা। নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে টিকিট কেটে নিজ গন্তব্যে বাসে উঠছেন তারা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি মেসে থাকেন জামাল উদ্দিন নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। লকডাউন ঘোষণার পরপরই ব্যাগ গুছিয়ে তিনি গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে চলে আসেন। যাবেন দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে।
জামাল উদ্দিন বলেন, তিনি কয়েকটি টিউশনি করে ঢাকা শহরে নিজের খরচ চালান। কিন্তু লকডাউন হয়ে গেলে সেই টিউশনিতে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই আগেভাগে বাড়ির পথে রওনা দিচ্ছি।

খিলগাঁও তালতলায় পরিবার নিয়ে থাকেন ময়মনসিংহের জামিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী সোমবার তার গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। লকডাউনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সবাইকে নিয়ে বাড়ি রওনা হয়েছেন। আজ যেতে না পারলে আগামীকাল রোববার অনেক ভিড় হবে।

মহাখালী বাস টার্মিনালে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বেশি যাত্রী যাতায়াত করে এনা পরিবহনে। এই পরিবহনের কাউন্টারের টিকিট বিক্রি করেন সাহেদ আলী। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে কয়েক দিন ধরে বাসের অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করছেন তারা। এতে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। আজ লকডাউন ঘোষণার পর তুলনামূলকভাবে যাত্রীও বেশি আসা শুরু করেছে। কাল রোববার ঘরমুখো মানুষের চাপ আরো বাড়তে পারে।

জয়পুরহাটগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী ফাহিম চৌধুরী বলেন, লকডাউনে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। ঢাকায় থাকলে সংক্রামক হওয়ার আশঙ্কা বেশি, বাড়িতে গেলে বেশি নিরাপদে থাকব। সে কারণে বাড়ি যাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ৭ দিনের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করার কথা রয়েছে। শনিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, দ্রুত বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সরকার ২-৩ দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের চিন্তা করছে। যেসব প্রতিষ্ঠান জরুরি সেবা দেয় সেই ধরনের প্রতিষ্ঠানগু‌লো লকডাউন চলাকা‌লে খোলা থাক‌বে। এছাড়া শিল্প-কলকারখানাও খোলা থাক‌বে, যা‌তে ক‌রে শ্রমিকরা শিফ‌টিংয়ের মাধ্যমে কাজ করতে পারে।

চিত্রদেশ//এসএইচ//

Related Articles

Back to top button