খেলাধুলা

পিএসজিকে কাঁদিয়ে ইউরোপ সেরা বায়ার্ন

স্পোর্টস ডেস্ক:
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বায়ার্ন মিউনিখকে এগিয়ে দিলেন কিংসলে কোমান। পরবর্তীতে অনেক চেষ্টা করেও গোল শোধ দিতে পারল না নেইমার-কিলিয়ান এমবাপের প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। ওই এক গোলই গড়ে দিলো ম্যাচের ভাগ্য। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতল হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পিএসজিবিবার রাতে লিসবনের স্তাদিও দা লুজে ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরের ফাইনালে পিএসজিকে ১-০ গোল হারিয়েছে বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের এটি ষষ্ঠ শিরোপা। এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া ক্লাবগুলোর তালিকায় যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে উঠে এলো দলটি।

এর আগে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১৩ সালে, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে। সেই সঙ্গে বাভারিয়ানরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের দিক দিয়ে ছুঁয়ে ফেলেছে গত আসরের শিরোপাজয়ী লিভারপুলকে। ছয়টি করে শিরোপার মালিক লিভারপুল-বায়ার্নের ওপরে আছে কেবল এসি মিলান (৭) এবং রিয়াল মাদ্রিদ (১৩)।

সোমবার রাতে পর্তুগালের লিসবনে ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণের পসরা সাজায় দু’দল। ১৯তম মিনিটে গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার বাঁচিয়ে দেন বায়ার্নকে। এর তিন মিনিট পর পিএসজিকে রক্ষা করে গোলপোস্ট। ব্যর্থ হয় রবার্ট লেভানদভস্কির চেষ্টা।

দুই দলের গোলরক্ষক যেন নিজেদের সেরা ফর্ম নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গোলপোস্টের নিচে। প্রথমার্ধের যোগ করা প্রথম মিনিটে আবারও বায়ার্নের ত্রানকর্তা ৩৪ বছর বয়সী নয়্যার। সহজ সুযোগ পেয়েও কিলিয়ান এমবাপ্পের নেওয়া দুর্বল শট রুখে দিতে কোনো বেগ পেতে হয়নি জার্মান অধিনায়কের। একের পর এক আক্রমণ এবং গোল মিসের মহড়া শেষে শূন্য স্কোর নিয়ে বিরতিতে যায় দু’দল।

দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়ে তারা। তবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বায়ার্নকে। এক দুর্দান্ত আক্রমণ থেকে কোম্যান হেডে বল পাঠিয়ে দেন পিএসজির জালে।

এরপর আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে বায়ার্ন। গোল হজমের পরের তিন মিনিটের মধ্যে দু’বার পিএসজিকে রক্ষা করেন দুই ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিমবাপ্পে এবং অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা। পরে বেশ কয়েকবার সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেন এমবাপ্পে-অ্যাঙ্গেল দি মারিয়া। নয়্যারের অতিমানবিক পারফর্ম্যান্সের সুবাদে বায়ার্নের জালে বল জড়াতে পারেনি পিএসজি তারকারা। এরপর রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে ৭ বছর পর আবারও ইউরোপ সেরা হওয়ার আনন্দে মেতে ওঠে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।

বাভারিয়ানরা ২০১৯/২০ মৌসুমে স্বপ্ন পূরণ করেছে ট্রেবল জয়ের। বুন্দেসলিগা ও জার্মান কাপ জয়ের পর এবার তারা জিতল চ্যাম্পিয়নস লিগ। বার্সেলোনার পরে দ্বিতীয় দল হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল জয়ের স্বাদ পেলো বায়ার্ন। বাভারিয়ানরা প্রথম ট্রেবল জিতেছিল ২০১৩ সালে।

চিত্রদেশ//এল//

Related Articles

Back to top button