প্রধান সংবাদ

ধর্মঘটেও সদরঘাট থেকে ছাড়ছে লঞ্চ

স্টাফ রিপোর্টার:
নৌযান শ্রমিকদের চলমান কর্মবিরতির মধ্যেই রাজধানীর সদরঘাট থেকে চলছে কিছু লঞ্চ। শনিবার সকাল থেকে বেশকিছু নিকটবর্তী গন্তব্যের লঞ্চ ছাড়লেও এখন পর্যন্ত দূরপাল্লার কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। তবে ধর্মঘটে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের নৌ বন্দরগুলোতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

ঢাকা নদীবন্দর (সদর ঘাট) যুগ্ম-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) মো. আলমগীর কবীর বলেন, ‘সকাল থেকে ১২টি লঞ্চ সদরঘাট ছেড়ে গেছে। এরমধ্যে কিছু কিছু লঞ্চের মাস্টার না থাকায় ছাড়া সম্ভব হয়নি।’

বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ১১টি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যে তিনটি বাদে সবই ছেড়ে গেছে। যাত্রী স্বল্পতার কারণে ভোরে চাঁদপুরের লঞ্চ সোনারতরী ছেড়ে যায়নি। একটি লঞ্চে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল, আরেকটি লঞ্চ সদরঘাটে নোঙ্গরই করেনি। ছুটির দিনে যাত্রীর চাপ যেরকম থাকে, সেরকমই আছে।

বাংলাদেশ জাহাজ শ্রমিক ফেডারেশনের ১৪ দফা ও নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নৌযান শ্রমিকদের এ কর্মবিরতি শুরু হয়।

শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাল্কহেডসহ সব নৌ-যানে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ। ২০১৬ সালের ঘোষিত গেজেট মোতাবেক কেরাণী, কেবিনবয় ও ইলেকট্রিশিয়ানসহ সব নৌ-শ্রমিককে বেতন প্রদান।

ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান ও হয়রানি বন্ধ। সব নৌ-শ্রমিককে মালিক কর্তৃক খাদ্যভাতা প্রদান। এনড্রোস, ইনচার্জ, টেকনিক্যাল ভাতা পুনর্নির্ধারণ। কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ।

এছাড়া তারা দাবি করছেন নৌ-শ্রমিককে মালিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক দিতে হবে। নৌ-শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নদীর নাব্যতা রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন। মাস্টার/ড্রাইভার পরীক্ষা, সনদ বিরতণ, সনদ নবায়ন, পরিদর্শনসহ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সব প্রকার অনিয়ম ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা বন্দরে আউটারে চলাচলকারী শ্রমিকদের সি-অ্যালাউন্স দিতে হবে।

চিত্রদেশ ডটকম//এস//

 

Related Articles

Back to top button