প্রধান সংবাদ

দিল্লিতে চারজনে একজনের করোনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রতি চারজনে একজন করোনায় আক্রান্ত। সেরো সার্ভের অংশ হিসেবে এলোপাতাড়ি নমুনা নিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্টে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সরকারি এ সমীক্ষা বলছে, নয়াদিল্লির ২১ হাজার ৩৮৭ বাসিন্দার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৩ দশমিক ৪৮ শতাংশের কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।

এর অর্থ হল, ঘনবসতি এ শহরটিতে সরকারি হিসাবের চেয়ে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা অনেক বেশি। দিল্লিতে এ পর্যন্ত এক লাখ ২৩ হাজার ৭৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যা শহরের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ। দিল্লিতে এক কোটি ৯৮ লাখ মানুষের বাস।

এ রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ছয় মাসে দিল্লির ২৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ অর্থাৎ সাড়ে ৪৬ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ তাদের মধ্যে সংক্রমণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২৭ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত সেরো সার্ভে’তে ২১ হাজার ৩৮৭টি নমুনা নিয়ে সার্ভে করা হয়েছিল। তাদের বেশিরভাগের মধ্যেই করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। এই সমীক্ষার পরেই বলা হচ্ছে- দিল্লিতে ইতোমধ্যে ৪৭ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংস্পর্শে এসেছেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, মানুষের মধ্যে যে পরিমাণ দ্রুততার সঙ্গে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে সেটা মাথায় রেখেই সেরো সার্ভে করা হয়েছিল। দিল্লির ১১টি জেলাতেই সার্ভে করা হয়।

এ সার্ভের সময় লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই নমুনা ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করাতেই এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। চিকিৎসকদের মতে, ২৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ মানুষের রক্তে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। এই সার্ভে প্রমাণ করল একটা বড় অংশের মানুষের ইতোমধ্যেই করোনা সংক্রমণ হয়েছে এবং তারা করোনার লক্ষণ ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠেছে।

দিল্লির মতো শহরে করোনা ছড়িয়ে পড়া খুব সহজ, কারণ সেখানে জনঘনত্ব অত্যন্ত বেশি। দিল্লি সরকারের কড়া পদক্ষেপে তাও সংক্রমণ খানিকটা হলেও কমেছে।

এই সার্ভেতে প্রমাণিত হয়েছে ফেস শিল্ড, মাস্কের ব্যবহার করলে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা কমানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সার্ভের ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি কর্তৃপক্ষকে ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহতা বুঝতে সহায়তা করবে। ভারতে করোনায় বিপর্যস্ত শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম দিল্লি।

জুনের প্রথম দুই সপ্তাহে সেখানে হাসপাতাল ও চিকিৎসাসামগ্রীর অভাব ছিল। এরপর থেকে হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়ন শুরু হয় এবং এরই মধ্যে কমতে থাকে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা।

গত দুই সপ্তাহে ভারতের রাজধানীতে দৈনিক এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৬০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত জুনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এর দ্বিগুণ। সোমবার দিল্লিতে ৯৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমান পাচ্ছে ভারত : লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে যোগ হচ্ছে সাবমেরিন বিধ্বংসী বিমান।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগামী বছরই চারটি পি-৮আই ভারতের হাতে আসবে বলে জানা গেছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২১ সালে আরও ৬টি পি-৮আই বিমান কেনা হতে পারে বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। এতে ভারত মহাসাগরে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

পি-৮আই বিমানটি ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য বিশেষভাবে তৈরি। উপকূল এলাকায় নজরদারি, শত্রুপক্ষের জাহাজ এবং সাবমেরিনের অবস্থান জানা এবং প্রয়োজনে আঘাত হানার ক্ষেত্রে এ বিমান ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

আঞ্চলিক শক্তিকে শাসাতে হারপুন ব্লক-২ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং হালকা ওজনের টর্পেডোকে এ বিমানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শক্তিশালী রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে এটি শত্রুপক্ষের সাবমেরিন এবং জাহাজ- উভয়ই ধ্বংস করতে সক্ষম।

পি-৮আই বিমানের অন্তর্ভুক্ত এই হারপুন ব্লক-২ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৮৯ কিলোমিটার বেগে নির্ভুল লক্ষ্যে ছুটে গিয়ে শত্রুপক্ষের বিমানে আঘাত হানতে পারে সেটি। এমনকি গোপনেও যদি শত্রুপক্ষের সাবমেরিন হানা দেয়, নিমেষে তাকে ধ্বংস করতে সক্ষম এ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বিমান।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button