প্রধান সংবাদ

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় পটুয়াখালীতে ৯০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে আঘান হানতে পারে। এমন আশঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পটুয়াখালীতে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাত ৮টায় দরবার হলে এ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত সার্বিক) জিএম সরফরাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) শেখ বিল্লাল হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী ইকবাল, কোষাধ্যক্ষ আবদুস সালাম আরিফ ও সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা. মো. রেজাউর রহমান প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে সকল উপজেলায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলায় প্রায় ৯০০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফনিতে কলাপাড়ায় একজন সিপিবি সদস্য মারা গেছেন। তার সুরক্ষা সামগ্রী সঠিক ছিল না। তাই এবারের ঘূর্ণিঝড় যে সকল স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন তাদের নিজের সুরক্ষা সর্বোপরি নিশ্চিত করে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জেলায় ২৮৫ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। এছাড়া ২ লাখ টাকাও প্রস্তুত রয়েছে। সর্বোপরি ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) শেখ বিলাল হোসেন জানান, সকল তথ্য দিতে টোল ফ্রি ৯৯৯-এ কল দিতে হবে। এছাড়া পটুয়াখালী জেলার পুলিশ হটলাইন : ০১৩২০১৫৬০৯৯।

জেলা মৎস্য অফিসার মোল্লা এমদাদুল্লাহ্ বলেন, সমুদ্রে কোনো ট্রলার নেই। তবে নদীতে দু’একটি নৌকা থাকতে পারে। আজও অভিযান চলমান রয়েছে। এছাড়া ঘেরে জাল দিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।

সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা. মো. রেজাউর রহমান জানান, ১১০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধও মজুত রয়েছে।

এছাড়া নদীবন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান জানান, ৬৫ ফুটের নিচের নৌযান ও স্পিডবোট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকার ডাবল ডেকার লঞ্চগুলো চলাচল করছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বোয়ালিয়া ঘাট থেকে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট এলে মাঝ নদীতে ডুবে যায়। এতে ১৩ জন সাঁতরে কীনারায় উঠেছেন। ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় দোষী প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

ভলান্টিয়ার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ৫ উপজেলায় ৬ হাজর সিপিবি, ফায়ার সার্ভিসের ৫০ জন, রেডক্রিসেন্টের ৫০ জন ও যুব উন্নয়নের ৩০০ জন ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছেন।

চিত্রদেশ//এফ//

Related Articles

Back to top button