প্রধান সংবাদ

এক টেবিলে মুখোমুখি সানী-মৌসুমী

বিনোদন ডেস্ক:
ওমর সানী-মৌসুমী-জায়েদ খান ইস্যুতে কয়েকদিন ধরে বেশ উত্তাল সিনেমাপাড়া। জায়েদ খানের বিরুদ্ধে মৌসুমীকে বিরক্ত ও সংসার ভাঙার অভিযোগ আনেন ওমর সানী। তবে স্বামীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জায়েদকে ‘ভালো ছেলে’ আখ্যা দেন মৌসুমী। যদিও পরবর্তীতে তিনি ছেলে ফারদিনের মাধ্যমে জানান, ‘যা বলেছি রাগের মাথায়’।

চলমান এই তর্ক-বিতর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তবে কি এই তারকা দম্পতির সংসারে ভাঙনের সুর বাজছে? তারা কি আলাদা থাকছেন? নেটিজেনদের এমন কৌতুহলী ও অনুমাননির্ভর প্রশ্নের জবাব দেন চিত্রনায়ক ওমর সানী।

তিনি জানিয়েছিলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য থাকবেই। এটা খুবই স্বাভাবিক ইস্যু। আমরা এখনও একই ছাদের নিচে আছি। মৌসুমী আমার স্ত্রী, আমার সন্তানের মা। তাকে অসম্মান করে আমি একটি কথাও বলব না। আমি চাই না, এই ২৭ বছরে এসে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি (পরিবারের মধ্যে) হোক। আমি আমার ছেলেমেয়ে, স্ত্রীকে নিয়েই থাকতে চাই।’

মনোমালিন্যের পালা শেষে ফের এক হলেন ওমর সানী-মৌসুমী। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওমর সানী তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে এক টেবিলে মুখোমুখি বসে খাবার খেতে দেখা যায় এই তারকা দম্পতিকে।

ক্যাপশনে সানী লিখেছেন, ‘সবাই ভালো থাকবেন, দোয়া করবেন আমাদের জন্য।’ সানীর পোস্টটি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। সানী-মৌসুমীর অনুরাগীরা তাদের একসঙ্গে দেখে শুকরিয়া আদায় করেন। অবশেষে তাদের সংসার ভাঙার গুঞ্জনের এখানেই ইতি ঘটলো।

ব্যক্তিজীবনে সুখী দম্পতি হিসেবেই ওমর সানী ও মৌসুমীর খ্যাতি রয়েছে। শোবিজ তারকাদের সংসার ভাঙার হিড়িকে ‘সুখী দাম্পত্যের’ তারা এক অনন্য উদাহরণ। তাদের ঘরে রয়েছে দুই সন্তান, ফারদিন ও ফাইজা। বছরখানেক আগে ছেলেকে বিয়ে করিয়ে ঘরে পুত্রবধূ এনেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন রাজধানীর একটি কনভেনশন হলে চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত ডিপজলের বড় ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খানের মধ্যে এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, ওমর সানী সবার সামনে হঠাৎ করেই জায়েদ খানকে চড় মারে। জায়েদ নাকি গত চার মাস ধরে মৌসুমীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। সেই জেরে জায়েদ খানকে চড় মারেন ওমর সানী। জায়েদও চুপ ছিলেন না, কোমর থেকে পিস্তল বের করে বলেন, ‘একেবারে গুলি করে দেব।’

এরপর ১২ জুন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ওমর সানী। সে সময় থেকেই বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়।

চিত্রদেশ//এফ//

Related Articles

Back to top button