স্বাস্থ্য কথা

গরম পানির ভাপ আর গার্গলে করোনামুক্তি

স্বাস্থ্যকথা ডেস্ক:

মরণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকেই। সেই দলে রয়েছেন ব্যবসায়ী কাজী আবুল হোসেন ও তার কলেজ পড়ুয়া দুই মেয়ে হালিমা তুজ স্নিগ্ধা ও নওশীন শার্মিলী নীরা।

গত রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন তারা। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা। তিনি বলেন, ভৈরবের ট্রমা সেন্টারের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়া আটজনকে রোববার ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

সুস্থ হওয়া স্নিগ্ধার বাবা-বোনসহ ১১ জনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে হাসপাতাল থেকে বিদায় দেয়া হয়।

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক বুলবুল আহমেদ জানান, আপনি যদি নিয়ম মেনে চলেন তাহলে করোনাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। নিয়ম মেনে চললেই করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল বড় মেয়ে স্নিগ্ধা প্রথমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরে তাকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর পরিবারের আরও চারজনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে বাবা ও ছোট বোনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর তাদের দুইজনকেও একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ১৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাবা ও দুই মেয়ে সুস্থ হন।

সুস্থ হয়ে চিকিৎসকদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন হালিমা তুজ স্নিগ্ধা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের সেবায় আমরা সুস্থ হয়েছি। পাশাপাশি ওনারা ২-৩টি করে আমাদের নরমাল ট্যাবলেট দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা নিয়ম মেনে তিনবেলা সেবন করেছি ওষুধ। সেই সঙ্গে গরম পানির ভাপ নিয়েছি, গার্গল করেছি, লেবুর শরবত পান করেছি, ফল খেয়েছি এবং ব্যায়াম করেছি। নিয়ম-কানুন মেনে চলেছি বলে দ্রুত করোনামুক্ত হয়েছি।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button