গল্প-কবিতা

কানিজ কাদীরের ভ্রমণ কাহিনী-‘মাদুরাই’ (৯ম পর্ব)

আমি তাড়াতাড়ি আবার রুমে এলাম। গোসল করে নামাজ পড়ে তৈরি হয়ে নিলাম। ক্যাফেটেরিয়ায় এসে দুপুরের খাবার খেলাম। ওদের সব খাবারে কি যেন একটা মসল্লা দেয়। উৎকট গন্ধ। একদম সহ্য করতে পারি না। তবে ওদের ডালটা বেশ ভালই লাগল।ডাল ও স্ববজি দিয়েই ভাত খেলাম। আর ওদের দইটাও ভাল লাগলো। যাক খাওয়া শেষ করে আবার আউটপেশেন্ট ব্লকে গেলাম। আবার কনফারেন্স রুমে গেলাম।

সেখান থেকে আমাদের সব ট্রেইনিদের একজন মেয়ে সে বেশ ভাল ইংরেজী জানে আমাদের পুরো হাসপাতালের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাল। সব ব্লকেই নিয়ে গেল। ওদের সব সিস্টেম দেখে খুব ভাল লাগছিল। আর ওদের ধৈর্য্য দেখেও অবাক হচ্ছিলাম। আমি ঘুরতে ঘুরতে বেশ টায়ার্ড হয়ে গেলাম। কিন্তু যে মেয়েটি ঘুরে ঘুরে আমাদের সব জায়গায় নিয়ে গেল সে একটুও টায়ার্ড হলো না। আবার সব ব্লকেই একজন তার ডিপার্টম্যান্ট সম্বন্ধে আমাদের কাছে রিপ্রেজেন্ট করলো। আমাদেরকে বসিয়ে নানাভাবে উপস্থাপনা করলো সবকিছু। বিকাল ৫টা বেজে গেল। আবার হোস্টেলে আসলাম। খুব একাকী লাগছিল। খুব নীরব। দু’একজনকে দেখে হাই, হ্যালো করলাম। রুমে এসে টিভি ছাড়লাম। সেই তামিল ভাষায় সব গান, নাচ। গানের সুরগুলো বেশ ভাল। শুনতে বেশ ভালই লাগে। রুমের ভিতর দরজা বন্ধ করে নিজেকে মনে হচ্ছিল এক নিঝুম দ্বীপের বাসিন্দা। ভাবলাম এনায়েত স্যারকে একটা ফোন দেই।উনাকে ফোন দিলাম। কথা হলো। এদিকে বাংলাদেশ থেকে আই, টি এর উপর ট্রেনিংএ আর দু’জন এখানে আসবে সেই ভরসাই ছিলাম। ওরা আসলে একটু ভালই লাগবে। ভাবছিলাম ওরা আসলে রাফিজাকে আমার পাশের রুমেই থাকতে দিতে বলবো। ওরা আসার কথা ১৩-১১-২০১৩ তারিখ রাত আটটায়। এমন সময় ফোন বেজে উঠলো। দেখি বাংলাদেশ থেকে রকিবুল ফোন দিয়েছে। ”আচ্ছালামু আলাইকুম আপা আমরা ১৩ তারিখ রওনা দিতেছি। ইন্ শা আল্লাহ ১৩ তারিখ রাতে আপনার সাথে আমাদের দেখা হবে।” রকিবুলের ফোনটা পেয়ে ভালই লাগল। রকিবুল ও রাফিজা ১৩ তারিখ রাত ৮টায় এসে পৌছঁবে। সে অপেক্ষাই থাকলাম।প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর চন্দ্রা আমাকে ১২ তারিখ সকাল ৯টায় যেতে বলেছে। (চলবে)

 


লেখক: কানিজ কাদীর

Related Articles

Back to top button