গল্প-কবিতা

কানিজ কাদীরের ভ্রমণ কাহিনি-‘মাদুরাই'(পর্ব-২৪)

‘চেন্নাই’ ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যের রাজধানী এবং দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম মেট্রোপলিটন শহর।চেন্নাই এর বাসিন্দাদের সংখ্যাগুরু অংশ তামিল জনগোষ্ঠি এবং তামিল ভাষায় কথা বলে। ইংরেজী ভাষাও ব্যাপকভাবে বলা হয়। চেন্নাই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও মন্দির স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত। ভারতের মটরগাড়ী শিল্পের প্রায় চল্লিশ শতাংশ এখানেই।

‘মেরিনা বীচ’ থেকে আমরা অটো নিয়ে চলে গেলাম মার্কেটে।রাফিজা মার্কেটে ওর মার জন্য কাশ্মিরি শাল পাওয়া যায় কিনা খুজঁবে। ওকে একটা মার্কেটের নাম বলে দিয়েছে মাদুরাই এর একজন। আমরা মার্কেটে আসলাম। বেশ বড় মার্কেট। অনেকটা আমাদের বসুন্ধরা মার্কেটের মত।
এখানকার মার্কেটে এসে দেখলাম অন্যরকম চেহারা। যারা আসা যাওয়া করছে সবাই বেশ স্মার্ট। মেয়েরা বেশির ভাগই প্যান্ট, গেন্জি পরা।মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে ঘুরেও কোথাও কাশ্মিরি শাল পাওয়া গেল না।অবশেষে এখানকার দোকানের একলোক স্পেন্সর নামে একটা মার্কেটের নাম বলে দিল।রাফিজা অবশ্য বের হওয়ার আগে ডিরেক্টর স্যার (প্রফেসর ডা: দীন মো: নুরুল হক) এর জন্য একটা দোকান থেকে টাই, কাফলিংকস কিনে নিল। আমরা স্পেন্সর মার্কেটে গেলাম ।মার্কেটে ঢুকেই প্রথম দোকানেই পেলাম কাশ্মিরি শাল । রাফিজা সত্যিই ওর মায়ের জন্য একটা সুন্দর শাল কিনতে পারলো।

আমরা ফিরে এলাম হোটেলে ।হোটেল বেশ নিরব। সিকিউরিটির চিন্তাও করছিলাম। রাতেও নিচের রেস্টুরেন্টেই খেয়ে নিলাম। হোটেলের একরাতের বিল পরিশোধ করে আমরা রুমে আসলাম। রাতে রুমেই ওয়াটার হিটার এ পানি গরম করে চা খেলাম। রাফিজা আমাকে চা করে দিল। রাতে বেশ ক্লান্ত ছিলাম। ভালই ঘুম হলো। আমাদেরকে সকালেই উঠতে হলো।আমরা যে ট্যাক্সিতে এসেছি সেই ড্রাইভারকেই সকাল আটটায় আসতে বলেছি।

৩ ডিসেম্বর সকাল পনে সাতটায় উঠে আমরা ফ্রেশ হয়ে তৈরি হয়ে নিলাম। পাশের রেস্টুরেন্টে নাস্তা করলাম। আমাদের চেন্নাই এয়ারপোর্টের ডিপারচার গেইট খুঁজে পেতে একটু দেরি হলো। কারণ লিফটে দোতলায় যেতে হয়। আমরা পাসপোর্ট, টিকেট দেখিয়ে ইমিগ্রেশন পার হয়ে ভিতরে ঢুকলাম। ১১-১০ এ প্লেন ছাড়বে। ৯টা বাজে । অল্প কিছু রুপি হাতে ছিল। আমরা এখানের দোকান থেকে কিছু কিনে তা শেষ করার চিন্তা করলাম। কিন্তু প্রত্যেকটা জিনিসের এত দাম। অবশেষ আমি আমার অবশিষ্ট ৪০০ শত রুপি দিয়ে চকোলেটই কিনলাম। রকিবুল ও রাফিজাও চকলেট কিনলো। যা রুপি আছে, তা দিয়ে শুধু চকোলেটই কেনা গেল। অ্যানাউন্স হলো চেক ইন এর । আমরা প্লেনে উঠলাম।

 

Related Articles

Back to top button