গল্প-কবিতা

কানিজ কাদীরের ভ্রমণ কাহিনী ‘মাদুরাই’ পর্ব- ৩

আমি রুমে বসে একটু ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ভাবলাম বাসায় জানানো দরকার। রিসেপশন এ বললাম ”আই নীড টু কল ওভার ফোন টু বাংলাদেশ”। ডা. মনজুরুল হক সাহেবের নাম্বারে ফোন দিলাম।কলটা মিসড হয়ে গেল। রাতে রিসিপশনে ফোন করে রাতের খাবার রুটি, স্ববজি ও চা খেয়ে নিলাম। রুমেই টিভি দেখলাম। নীচে বলে রাখলাম সকাল সাড়ে সাতটায় যেন ড্রাইভার থাকে যে আমাকে চেন্নাই এয়ার পোর্টে পৌঁছে দিবে। আমার মাদুরাই যাবার ডমিস্টিক ফ্লাইট সকাল দশটায়। এর মধ্যে একটি বয়কে নিয়ে নীচে নেমে হোটেলের নীচের কম্পিউটার রুমে যেয়ে অরবিস এর মোহসীনা ও আমার হাজবেন্ডকে একটা মেইল পাঠালাম। রুমে এসে বিছানায় গা এলিয়ে বেশ আরাম করেই টিভি দেখছিলাম। এরমধ্যে হোটেল রুমে রিং বেজে উঠলো। ফোনটা ধরে হ্যালো বলতেই দেখি ওপাশ থেকে ডা. মনজুরুল হক সাহেবের গলা।আমার বেশ ভালো লাগলো। সে একটা মিসকল দেখে ঐ কল এ ফোন ব্যাক করেছে।

১০.১১.২০১৩
পরদিন সকালে নাস্তা খেয়েই নীচে ফোন দিয়ে বললাম ”আই নীড এ বয় টু হ্যান্ডওভার দ্যা রুম”।কিছুক্ষণ পর একটা ছেলে একটা ট্রলি নিয়ে চলে এলাে। আমি ইতিমধ্যে সব গুছিয়ে নিয়েছি। নীচে এসে রিসেপশনে এ টাকা, চাবি, বুঝিয়ে দিলাম।ইতিমধ্যে আমি ডলার ভাঙ্গিয়ে কিছু টাকা রুপি করে নিয়েছি। ছেলেটাকে দশ রুপি দিলাম। ড্রাইভার সকালেই এসে গেছে। আবারও সেই ড্রাইভার । আবার ওর সাথে নানা কথা বলতে বলতে এলাম। ড্রাইভারটা বেশ ভাল ইংরেজী বলতে পারে। ড্রাইভার আমাকে চেন্নাই এয়ারপোর্টে টার্মিনাল ডি তে নিয়ে এলো। আমার লাগেজ নামিয়ে একটা ট্রলি টেনে এনে লাগেজ উঠিয়ে দিল। আমি ড্রাইভারকে ৪০ রুপি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিয়ে এয়ারপোর্ট এর ভিতরে গেলাম।বোর্ডিং পাস নিয়ে পার হয়ে (এখানে ইমিগ্রেশনের প্রয়োজন হয় নাই, কারণ ডমিস্টিক ফ্লাইট এ ইমিগ্রেশনের প্রয়োজন হয় না।)এইচ৩ টার্মিনাল এ যেয়ে বসলাম। আমি ৮টার মধ্যেই পৌছেঁ গেলাম। আমি এইচ৩ এর টার্মিনাল এর চেয়ারে যেয়ে একটা মহিলার পাশে বসলাম। ওনাকে জিজ্ঞেস করলাম হোয়ার আার ইউ গোয়িং অন? উইল ইউ গো টু মাদুরাই?’ সে বললো সে হায়দারাবাদ যাচ্ছে ডমিস্টিক ফ্লাইট এ , তার ফ্লাইট নম্বর আমার সাথে মিলছে না। মহিলাটি শ্রীলংকার অধিবাসী। (চলবে)

 

লেখক : কানিজ কাদীর

Related Articles

Back to top button