স্বাস্থ্য কথা

করোনা রুখতে জরুরি পরামর্শ

স্বাস্থ্যকথা ডেস্ক:

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস দেশে ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এ অবস্থায় সবাইকেই অতিরিক্ত সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব বিষয়ে প্রতিদিনই গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যার সারকথা হলো- প্রত্যেককেই সতর্ক থাকতে হবে। নাকে-মুখে-চোখে হাত অযথা হাত দেয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। শিশুদেরকেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলো শেখাতে হবে।

জরুরি পরামর্শ

করোনাভাইরাস যেহেতু শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে তাই ফুসফুসের শক্তি বাড়াতে হবে। বিশেষ কিছু ব্যায়ামের মাধ্যমে ফুসফুসের শাক্তি বাড়ানো যায়। সেই খাবার-দাবারের ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে। এছাড়া যারা ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে জিংক সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, মাংস, ডিম, দুধ, মিষ্টিকুমড়া, লাউয়ের বিজ, রসুন এসব খাবারে বেশি জিংক পাওয়া যায়।

তরল খাবার ও পানি বেশি করে খেতে হবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন, টাটকা শাকসবজি, ফলমূল– এগুলো বেশি করে খাদ্য তালিকায় রাখি। প্রোটিনও রাখতে হবে। কারণ প্রোটিন হলো- জিঙ্কের ভালো উৎস। জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার যেন আমরা খাই। ডাল জাতীয় খাবারের মধ্যে প্রোটিনের উৎস আছে। আমরা ডাল জাতীয় খাবারও বেশি করে খেতে পারি। খাবার তালিকায় যেন সম্মিলিতভাবে শর্করা, প্রোটিন, চর্বি বা ফ্যাট থাকে। সম্মিলিত খাদ্য বা আদর্শ খাদ্য যেন আমরা গ্রহণ করার চেষ্টা করি।

বাইরে বের হবার আগে অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস পরা। এটা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ করোনাভাইরাস হাতের মাধ্যমে খুব সহজেই ছড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়া এটা নাক, মুখ ও চোখ দিয়ে সংক্রমণ ঘটনায়। ফলে সাবান পানি দিয়ে বার বার হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। কখনো পানি না থাকলে হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করে নিতে হবে।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে হবে। এটাও খুবই জরুরি বিষয়। কারণ অত্যন্ত ছোঁয়াচে এ রোগ একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়ায়। ফলে এ সময়ে বাইরে ঘোরাঘুরি, আড্ডা, বা লোকসমাগম হয় এমন স্থান এড়িয় চলতে হবে। অতি প্রয়োজনে বাজারে বা কোনো কিছু কেনাটাকাটা করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হচ্ছে কি না।

নিয়মিতভাবে শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এতে আমাদের শরীরের যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং নিজেরাও শারীরিকভাবে ভালো থাকব। নিজের মনোবলকে সবসময় চাঙা রাখা। আক্রান্ত হই বা না হই, সবাইকে আমরা বাড়িতে থাকার জন্য উপদেশ দিচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে আমরা যেন মনোবল চাঙা রাখি। মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকি। আর দীর্ঘদিন ধরে যারা অসুখে ভুগছেন, তাদের প্রতি যেন আমরা বিশেষভাবে খেয়াল রাখি। উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, ফুসফুসে সমস্যা, হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট, তারা বিশেষভাবে এইসব নিয়মনীতি মেনে চলবেন। তাহলেই আপনারা ভালো থাকবেন, নিজে সুরক্ষিত থাকবেন।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button