করোনার জাদুকরী সমাধান নেই, কার্যকর টিকা নাও মিলতে পারে: ডব্লিউএইচও
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনাভাইরাসকে সম্পূর্ণ নিরাময় করতে পারে এমন ভ্যাকসিন কখনও উদ্ভাবন নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সোমবার জেনেভায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস। খবর বিবিসির।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় সহজ ও জাদুকরী কোনো সমাধান এ মুহূর্তে নেই; ভবিষ্যতে নাও মিলতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের কার্যকর একটি টিকা তৈরির তোড়জোড় এবং এ টিকা নিয়ে সবার অনেক আশা থাকলেও কোনো জাদুকরী সমাধান হয়তো কোনো দিনও মিলবে না; স্বাভাবিকতায় ফেরার পথ হবে দীর্ঘ।
‘মহামারী সহসাই শেষ হবে না’ বলে ডব্লিউএইচও এর আগে সতর্ক করার পর নতুন করে এ সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব সংস্থাটি।
করোনাভাইরাসে প্রাণহানি ও আক্রান্তের পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এই মহামারীতে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৯ জন। আর মারা গেছেন ৬ লাখ ৯৭ হাজার ১৮৯ জন।
অনেক দেশই মহামারীর প্রথম ধাক্কা সামলে ওঠার পর দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
ডব্লিউএইচও প্রধান গেবরিয়াসুস এবং সংস্থাটির জরুরি সেবা বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে মহামারী মোকাবেলায় সব মানুষকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, বেশি বেশি হাত ধোয়া এবং ভাইরাস পরীক্ষার মতো স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে গেবরিয়াসুস বলেন, জনগণ এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে আমাদের পরিষ্কার বার্তা– সবাই এসব বিধি পালন করুন। মুখে মাস্ক পরাটা বিশ্বজুড়ে সংহতির প্রতীক হয়ে ওঠা উচিত, বলেন তিনি।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বেজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রায় ১৬০টি টিকা উদ্ভাবনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। কোনো কোনো টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে তৃতীয় ধাপে। মানুষকে সংক্রমণ থেকে রক্ষায় একাধিক কার্যকর টিকা পাওয়ার আশাও সবাই করছে।
গত মাসে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রাথমিক ধাপে আশাব্যঞ্জক ফল দেখিয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করা করোনাভাইরাসের টিকা।
চীনের উহান শহরে গত বছর ডিসেম্বর থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ।
এই ভাইরাস বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
চিত্রদেশ//এফ//