কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৬ ধাপ এগিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর
চট্রগ্রাম প্রতিনিধি
কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে এক বছরের ব্যবধানে ছয় ধাপ এগিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরের তালিকায় ৫৮তম স্থান অর্জন করেছে। গত ২০১৮ সালে এই তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ৬৪তম স্থানে ছিল। এ নিয়ে গত এক দশকে ৩০ ধাপ এগিয়েছে এই বন্দর।
সেবা সক্ষমতা, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং প্রভৃতি সূচকের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক প্রাচীন সংবাদমাধ্যম লয়েডস।
মূলত পোশাকশিল্পের রপ্তানির ওপর ভর করেই চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয় লয়েডস লিস্টের প্রতিবেদনে। তবে অবস্থানগত উন্নতি হলেও প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণ জরুর বলেও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, সমুদ্রপথে বাংলাদেশের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের ৯৮ শতাংশ কাজ পরিচালিত হয় এ বন্দর দিয়ে। এ বন্দর দিয়ে যত পণ্য পরিবহন হয়, তার ২৭ শতাংশ কন্টেইনারে আনা–নেয়া হয়। বাকি ৭৩ শতাংশই আনা-নেওয়া হয় কন্টেইনারবিহীন সাধারণ জাহাজে। সাধারণ জাহাজের (বাল্ক, ব্রেক বাল্ক ও ট্যাংকার) খোলে আমদানি হয় মূলত সিমেন্ট, ইস্পাত ও সিরামিক কারখানার কাঁচামাল এবং পাথর, কয়লা, ভোগ্যপণ্য ও জ্বালানি তেল।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের লয়েডস লিস্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ১০০টি ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ছিল ৬৪তম। সম্প্রতি লয়েডস ২০১৯ সালের তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৫৮ নম্বরে। বন্দরের সক্ষমতা, আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের এ উন্নতি হয়েছে।
চিত্রদেশ//এল//