নারী মঞ্চ

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে চলছে নারী নির্মাতাদের কনফারেন্স

স্টাফ রিপোর্টার:
‘নান্দনকি চলচ্চত্রি, মননশীল র্দশক, আলোকতি সমাজ’- স্লোগানে রাজধানীতে চলছে অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে উৎসবের অংশ হিসেবে আজ ১২ জানুয়ারি শুরু হয়েছে ‘ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস কনফারেন্স’।

রোববার সকালে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জের ২য় তলায় কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন আমেরিকান চলচ্চিত্র উৎসব কিউরেটর, লেখক ও ব্লগার সিডনি লেভিন। আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিয়ারা নাসরীন, অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা ও নির্মাতা রোবেন হিউগেন, পোলিস নির্মতা জোয়ানা ক্রিস-ক্রাউজে এবং বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের কোয়ার্ডিনেটর মিণাক্ষী সিন্দী। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অভিনেত্রী ও সংগঠক বন্যা মির্জা এবং চৈতালী সামাদ্দার।

কর্মশালায় দেশি বিদেশি নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ব্যক্তিত্বদের সাথে মত বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী নির্মাতাগণ অভিজ্ঞতা অর্জনের কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং উত্তোরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা বলেন, ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে অর্থ একটি বড় বিষয়। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ফান্ডিং সংস্থাগুলোর চাহিদা ও শর্তাবলীর বিবেচনা দরকার।

তাছাড়া পৃথিবীর খ্যাতিমান চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর গুণগত মান, কাঠামো ও মার্কেটিং পলিসিগুলোর ওপর নজর রাখতে হবে।

এছাড়াও চলচ্চিত্রে নারীর অবস্থান, নারী নির্মাতাদের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের উত্থান, দনৈতা, চ্যালঞ্জে এবং সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। সাধনা গ্রুপের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস কনফারেন্স। দুই দিনের এই কর্মশালা আগামীকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

অষ্টাদশ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্মাতাদের মিথষ্ক্রিয়ামূলক দিনব্যাপী সেমিনার ‘ওয়েস্ট মিটস ইস্ট’। সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জের ২য় তলায় সেমিনারটি শুরু হবে, চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। চলচ্চিত্রে প্রয়োজনীয়তা থেকেই পশ্চিমারা নিজ শৈল্পিকতা গুণে সমৃদ্ধ। প্রাশ্চাত্যের দেশগুলোর চলচ্চিত্রেরও রয়েছে নিজস্ব শৈল্পকিতা, কিন্তু তা প্রাচ্য থেকে একেবারেই ভিন্ন।

এটা ধারণা করা হত যে, ‘এই দুই অঞ্চলের শিল্প কখনও এক হবে না’। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে চলচ্চিত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলো প্রাচ্য ও পশ্চাত্যের কেন্দ্রবিন্দুতে জায়গা করে নিয়েছে। ফলে চলচ্চিত্র হারিয়েছে নিজ সীমানা, পেয়েছে বৈশ্বিক পরিচিতি। এই একাত্মতাকে কিভাবে আরো রিদ্ধ করা যায় সেই ভাবনাকে এগিয়ে দিতেই এই আয়োজন।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button