অরুণ কুমার বিশ্বাসের লেখালেখির কুড়ি বছর উদযাপন
স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হল গোয়েন্দাসাহিত্যিক অরুণ কুমার বিশ্বাসের লেখালেখির কুড়ি বছর উদযাপন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম, সাহিত্যিক খালেক বিন জয়েন উদ্দিন, উন্মাদ সম্পাদক আহসান হাবীব, ছড়াকার আলম তালুকদার, কবি ও গীতিকার ড. মারুফুল ইসলাম প্রমুখ।
অরুণ কুমার বিশ্বাসের প্রথম বই ‘নেমেসিস’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৯ সালে, যদিও তার প্রথম লেখা ছাপা হয় নটরডেম কলেজের মাসিক প্রকাশনা ঢাকঢোল-এ। ইতোমধ্যে তার একশ’র বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে, যার সিংহভাগ ডিটেকটিভ ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী উপন্যাস। শার্লক হোমস বা ওপার বাংলার ফেলুদার মতোই ‘অলোকেশ রয়’ নামে একটি পাঠকপ্রিয় গোয়েন্দাচরিত্র বিনির্মাণে তিনি বদ্ধপরিকর। গুবলু তার আরেকটি গোয়েন্দা চরিত্র, যা ইতোমধ্যে শিশু ও কিশোরদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। জলপিপি, স্পাই, অনল মিত্রের অপমৃত্যু, আলিম বেগের খুলি, অথই আঁধার, ওরা ডিটেকটিভ তার উল্লেখযোগ্য গোয়েন্দা উপন্যাস।
ইতোমধ্যে তার একশ’র বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে, যার সিংহভাগ ডিটেকটিভ ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী উপন্যাস। শার্লক হোমস বা ওপার বাংলার ফেলুদার মতোই ‘অলোকেশ রয়’ নামে একটি পাঠকপ্রিয় গোয়েন্দাচরিত্র বিনির্মাণে তিনি বদ্ধপরিকর। গুবলু তার আরেকটি গোয়েন্দা চরিত্র, যা ইতোমধ্যে শিশু ও কিশোরদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। জলপিপি, স্পাই, অনল মিত্রের অপমৃত্যু, আলিম বেগের খুলি, অথই আঁধার, ওরা ডিটেকটিভ তার উল্লেখযোগ্য গোয়েন্দা উপন্যাস।
এদিকে কথাসাহিত্যিক অরুণ কুমার বিশ্বাসের জন্মদিন আগামীকাল ২৭ ডিসেম্বর। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার জহরের কান্দি গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা বঙ্কিম চন্দ্র বিশ্বাস ও মা মালতী দেবী। শিক্ষক বাবা-মায়ের অপত্য স্নেহে কাটে তার বর্ণিল শৈশব ও কৈশোরকাল। তিনি নটর ডেম কলেজের ছাত্র ছিলেন। ইংরেজি সাহিত্যে সম্মানসহ মাস্টার্স করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় পুনরায় মাস্টার্স করেন লন্ডনে। কলেজকাল থেকেই তার লেখালিখির শুরু। তিনি অসম্ভব প্রাণোচ্ছল ও সংবেদি একজন মানুষ। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে শিশু-কিশোরদের জন্য লিখছেন ছড়া, গল্প, অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস, ভুতুড়ে ও গোয়েন্দা কাহিনী। পেশাগত কাজের ফাঁকে (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) তিনি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত কলাম লিখছেন।
রম্যরচনা ও কিশোর অ্যাডভেঞ্চার বিষয়ে তার লেখাজোখা প্রচুর। তবে তিনি গোয়েন্দাগল্পের বিশেষ সমঝদার। এপার বাংলায় ফেলুদা’র মতো একটি চৌকস বুদ্ধিদীপ্ত গোয়েন্দা চরিত্র গড়ে তুলতে তিনি বদ্ধপরিকর। ‘অলোকেশ রয়’ তাঁর সৃজিত প্রাইভেট ডিটেকটিভ যাকে নিয়ে লেখা উপন্যাস জলপিপি, কফিমেকার, আলিম বেগের খুলি, অনল মিত্রের অপমৃত্যু ও অথৈ আঁধার বিশেষ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। তাঁর প্রচেষ্টায় ‘ডিটেকটিভ ক্লাব’ নামে একটি গোয়েন্দাগল্প লিখিয়ে প্লাটফর্ম খুব শিগগিরই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। লেখকের এ পর্যন্ত লেখা গ্রন্থের সংখ্যা একশ’র উপরে। স্ত্রী ডা. তপতী মণ্ডল। দুই ছেলে অনিকেত ও অগ্নিশ। তারাও লেখালেখি করেন।
তিনি নটর ডেম কলেজ থেকে মেধার স্বীকৃতিসূচক ‘অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স-১৯৯৫’ এবং চলতি বছর ‘স্পাই’ উপন্যাসের জন্য চ্যানেল আই প্রবর্তিত এসিআই-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৮ লাভ করেন।
চিত্রদেশ//এস//