খেলাধুলা

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক:

সম্ভাবনাটা আগে থেকেই ছিল। ছক ধরেই এগোলো সেই সম্ভাবনা এবং শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেই মুখোমুখি হয়ে যাচ্ছে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত এবং পাকিস্তান। ৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রমে হবে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনালে ওঠার লড়াই।

দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আগেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমির টিকিট নিশ্চিত করে রেখেছে ভারত। তাদেরকে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছিল প্রতিদ্বন্দ্বী কে হয় তা জানার জন্য। কারণ, পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ম্যাচ ছিল শুক্রবার। ওই ম্যাচের জয়ী দলই ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হওয়ার কথা ভারতীয় যুবাদের।

শুক্রবার আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেটাই নিশ্চিত করে নিলো পাকিস্তানের যুবারা। বেনোনির উইলোমোর পার্কে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ১৮৯ রান। জবাবে ৪১.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

ক্রিকেট মাঠে ভারত-পাকিস্তান লড়াই নিয়ে উৎস্যুক থাকে পুরো ক্রিকেটবিশ্ব। তা সে যে কোনও পর্যায়েই হোক না কেন। এবারের যুব বিশ্বকাপে আলাদা আলাদা গ্রুপে থাকায় সেমির আগ পর্যন্ত মুখোমুখি সাক্ষাতের সুযোগ আসেনি ভারত এবং পাকিস্তানের। কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে সেমিতে ওভার পরই মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল।

সেমিফাইনালের লাইনআপ হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হেসে-খেলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের যুব ক্রিকেট দলকে হারিয়ে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে রেখেছিল কিউইরা। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৬ ফেব্রুয়ারি পচেফস্ট্রমে।

বেনোনিতে টস জিতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। পাকিস্তানি বোলারদের সাঁড়াসি বোলিংয়ের সামনে ৪৯.১ ওভারে অলআউট হয়ে সংগ্রহ করে মাত্র ১৮৯ রান। আফগানদের হয়ে অধিনায়ক ফারহান জাখিল করেন সর্বোচ্চ ৪০ রান। আবদুল রহমান করেন ৩০ রান। রাহমানুল্লাহ ১৯ এবং আবিদ মোহাম্মদি করেন ২৮ রান।

পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ আমির খান নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ২টি নেন ফাহাদ মুনির। একটি করে উইকেট নেন তাহির হোসেন, আব্বাস আফ্রিদি, আমির আলি এবং কাশিম আকরাম।

জবাব দিতে নেমে ওপেনার মোহাম্মদ হুরাইরার ব্যাটে ভর করে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ৭৬ বলে ৬৪ রানে রানআউট হন মোহাম্মদ হুরাইরা। অপরাজিত ২৯ রান করে মোহাম্মদ হারিস এবং ২৫ রান করে কাশিম আকরাম জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

২৮ রান করে অপর ওপেনার হায়দার আলিও রানআউ হন। রোহাইল নাজির করেন ২২ রান। আফগানদের হয়ে নুর আহমদ নেন ২ উইকেট।

 

চিত্রদেশ//এইচ//

Related Articles

Back to top button