অর্থ-বাণিজ্য

প্রবাসী আয়ে সেরা দশে নেই বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সেরা দশে বাংলাদেশের নাম নেই। সেই তুলনায় এগিয়েছে ভারত, চীন ও মেক্সিকো। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, অদক্ষ শ্রমিক, অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় ও রিক্রুটিং এজন্সির অনৈতিকতার কারণেই পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

এ ১০ বছরে (২০০৯ থেকে ২০১৮) বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন ৫৮ লাখ শ্রমিক। বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণলায়ের তথ্য বলছে, এ সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ দশকি পাঁচ চার বিলিয়ন ডলার। অথচ একই সময় ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা আয় ৫৩ বিনিয়ন ডলার থেকে ছাড়িয়েছে ৭৮ বিলিয়ন ডলার। আর চীনের আয় ৫২ থেকে ৬৭ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।

এমনকি এক যুগ আগে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের তালিকায় পেছনে থাকা ফিলিপিনের আয় ছাড়িয়েছে ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

আই্ওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, একজন শ্রমিক যখন শিক্ষিত এবং দক্ষ হবেন তখনই ন্যায্য অধিকারের জন্য লড়াই করতে পারবেন। পাশাপাশি তাকে পাচার করা সম্ভব হবে না বলেও মত তার। দেশের জন্য তার পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা দেশের জন্য কাজে লাগবে বলেও মত এই কর্মকর্তার।

সরকারি হিসাবে সৌদি আরবে যেতে একজন শ্রমিকের খরচ হওয়ার কথা ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। সিঙ্গাপুরে ২ লাখ ৬২ হাজার, মালয়শিয়ায় ১ লাখ ৬০ আর লিবিয়ায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। কুয়েত, কাতার, জর্ডান কিংবা ইরাকে যেতে খরচ ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এ হিসাব কাগজে-কলমে। বাস্তবে প্রত্যেক শ্রমিকের গড়ে ব্যয় হয় কমপক্ষে সাড়ে ৩ লাখ টাকা।

আই্ওএম বাংলাদেশের হেড ওফ মাইগ্রেশন প্রাভিনা গুরুং বলেন, এমন একটি নিয়ম চালু করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে যেখানে শ্রমিকরা নয় বরং নিয়োগকর্তারাই অভিবাসন ব্যয় বহন করবেন। এতে করে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ হবে বলে মনে করেন প্রাভিনা গুরুং।

প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ জানান, বিদেশগামী শ্রমিকরা যাতে কোনোভাবে প্রতারিত না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক আছে সরকার।

 

চিত্রদেশ //এস//

Related Articles

Back to top button