গল্প-কবিতা

কানিজ কাদীরের ভ্রমণ কাহিনি-‘মাদুরাই'(১০ম পর্ব)

পাচঁ মিনিটের রাস্তা। কিন্তু এত রোদ যে একটা ছাতা নিতেই হবে। ভাগ্যিস সবাই ছাতা নিতে বলেছিল। সকালে ব্রেকফাস্ট সেরেই ঠিক ৯টায় প্রজেক্ট কোঅরডিনেটর চন্দ্রা এর রুমে গেলাম। সে আমাকে গুড মর্নিং জানালো। একজন সিস্টারকে ডেকে আমাকে ইনপেশেন্ট ব্লকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বললো। সিস্টার আমাকে সাথে নিয়ে ইনপেশেন্ট ব্লকের অপারেশন থিয়েটারে (দুইতলা) নিয়ে গেলেন। ডা. রাভিন্দ্র (এনেসথেসিওলজিষ্ট) এর সাথে পরিচয় হলো। অন্য আর একজন সিস্টার আমাকে ড্রেস চেইন্জিং এর রুম দেখিয়ে দিল। ড্রেস চেইন্জ করে সে আমাকে ওটি সেন্ডেল পরার জন্য নিয়ে গেল। আমাকে পেডিয়াট্রিক ওটি তে নিয়ে গেল। দু’পাশে অনেকগুলো ওটি। আমি পেডিয়াট্রিক ওটি তে ঢুকে দেখলাম একজন সার্জন অপারেশন করছেন । প্যাশেন্ট এর জেনারেল এনেসথেসিয়া দিয়ে অপারেশন চলছে। সম্ভবত একজন নার্স এনেসথেসিয়া মেশিনের সার্কিটের ব্যাগ ভেন্টিলেট করছে।সবাই দেখলাম স্বতস্ফূর্তভাবে আমার সাথে পরিচিত হলো। আমি ওদের সাথে কথা বললাম। সার্জন বললেন, ‘আর ইউ ফ্রম বাংলাদেশ? আই হ্যাভ গন বাংলাদেশ, হ্যাভ ইউ সিন মি?” আমি বললাম ”ইয়েস, আই অ্যাম ড: কানিজ ফ্রম বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অফথালমোলজি। উনি বললেন, ”আই অ্যাম ড: শশীকান্ত, পেডিয়াট্রিক অফথালমোলজিস্ট, হাউ ইজ ড: এনায়েত?” আমি বললাম, ”হি ইজ ফাইন। ওটিতে যে সিস্টার এসিস্ট করছিল তাকে খুব এক্সপার্ট মনে হচ্ছিল। সে খুব ভাল ইংরেজী বলতে পারে। ওর নাম জিজ্ঞেস করতে ও বললো ওর নাম ‘সিলভা’। এছাড়া আরও বেশ ক’জন সিস্টার দেখলাম। সিলভা আমার নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমাকে বেশ সাহায্য করলো। ওদের অর্গানাইজড কাজ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দেখে আমি অবাকই হলাম। ওদেরকে আমার খুব সিনসিয়ার মনে হলো। পেডিয়াট্রিক ওটিতে আজ মাত্র ৩টা অপারেশন ছিল। ১টার মধ্যে ওটি শেষ হয়ে গেল। আমি ডা.রাভিন্দ্রকে বলে ওটি থেকে বের হয়ে রুমে আসলাম। ক্যাফেটেরিয়ায় দুপুরের খাবার খেতে গেলাম। আবার চারটার দিকে হাসপাতালে যেয়ে পোস্টঅপারেটিভে গেলাম। সেখানে ঘন্টাখানিক থাকলাম।ডা: রাভিন্দ্র, সিলভা সিস্টার ও আরও সিস্টারদের পেলাম এখানে। ওদের সবকিছু আমি খুটিয়েঁ খুটিঁয়ে অবজারভ করছিলাম। পাচঁটার দিকে আবার হাটঁতে হাটঁতে ইন্সপিরেশন হোস্টেলের রিসেপশনের সোফায় এসে বসলাম। এমন সময় এনায়েত স্যারের ফোন পেলাম। উনি বললেন ”রকিবুল রাফিজা তো রওনা দিয়েছে। ওরা আগামিকাল রাত ৮টায় মাদুরাই যেয়ে পৌঁছাবে।” (চলবে)

 

লেখক: কানিজ কাদীর

Related Articles

Back to top button