প্রধান সংবাদ

২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩০৯৯

স্টাফ রিপোর্টার:
বিশ্বে যখন মৃত্যু মিছিল তখন করোনায় বাংলাদেশেও দিনকে দিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১২০৯ জন মারা গেলেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৩ হাজার ৯৯ জন। ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ৬১৯ জন।

সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে ঘরে থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণেরও পরামর্শ দেন। একই সাথে যারা করোনার এই মহামারিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের ধন্যবাদ দেন নাসিমা।

নাসিমা বলেন, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ হাজার ৭৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৩৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৫ লাখ ১৬ হাজার ৫০৩টি।’

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব সাতজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন, ষাটোর্ধ্ব ১৫ জন এবং সত্তরোর্ধ্ব পাঁচজন র‌য়ে‌ছেন। ১৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ছয়জন সিলেট বিভাগের এবং একজন করে রংপুর ও বরিশাল বিভা‌গের। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন, বাসায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের এবং হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণা করা হয়েছে দুজনকে।

নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫৩৬ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন দশ হাজার ২৬ জন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ২৭ জন।

এর আগে রোববারের বুলেটিনে জানানো হয়, দেশে চব্বিশ ঘণ্টায় আরো ৩১৪১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭,৫২০। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরো ৩২ জন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১১৭১।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৬ জন। মারা গেছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ৪১ লাখ ৭ হাজারেরও বেশি রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button