করোনাকালে রাস্তায় চলাচলে চালু হচ্ছে বিশেষ ‘পাস’
স্টাফ রিপোর্টার:
সারাদেশের লকডাউন পরিস্থিতিতে চলাফেরায় হয়রানি বন্ধের জন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ নামে একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। যাত্রা শুরুর স্থান ও গন্তব্য নির্ধারণ করাসহ আরও বেশকিছু তথ্য প্রদানের মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে যারা যাতায়াত করবেন, তাদের জন্য এই পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই পাসধারী ব্যক্তি নির্বিঘ্নে সড়কে চলাচল করতে পারবেন। তবে সবাই এই পাস পাচ্ছেন না। কেবল জরুরি সেবার সাথে সংশ্লিষ্টদের দেয়া হবে এই পাস।
পুলিশ সদর দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তারা বলছেন, সদর দফতরের আইসিটি উইংয়ের সমন্বয়ে শুরু হতে যাচ্ছে এই কার্যক্রম। জরুরি পণ্য পরিবহন, সেবাদানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের যাচাই-বাছাই করে দেওয়া হবে এই পাস।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, সারাদেশে চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে যারা জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন, তারা যেন পথিমধ্যে কোনও ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সেজন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এটা (মুভমেন্ট পাস) চালু করা হবে।
‘মুভমেন্ট পাস’ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে movementpass.police.gov.bd নামে একটি ওয়েবসাইট চালু হয়েছে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ওষুধ, চিকিৎসা, কৃষি পণ্য পরিবহন, চাকরিসহ ১৪টি ক্যাটাগরিতে এই পাস দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের পর শর্ত সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। প্রতিবার যাতায়াতের জন্য পাস নিতে হবে। একটি পাস একবার ব্যবহারযোগ্য। যাওয়া এবং আসার জন্য দুটি আলাদা পাসের আবেদন করতে হবে।
মুভমেন্ট পাসের জন্য আবেদন করতে হলে নাম, মোবাইল নম্বর, যাত্রা শুরুর স্থান, গন্তব্য, আইডি কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, যাত্রার কারণ ইত্যাদি তথ্য পূরণ করার পর পুলিশ অনলাইনে একটি পাস ইস্যু করবে। অনলাইনে ইস্যু করা পাসটিতে যাতায়াতের যাবতীয় তথ্য থাকবে। একইসঙ্গে একটি কিউআর কোড স্ক্যানার থাকবে, যা স্ক্যান করে বিভিন্ন চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরা সহজেই অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তির যাতায়াত নিশ্চিত করতে পারবেন।
এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, করোনা পরিস্থিতে সাধারণ মানুষের চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে। যেসব কার্যক্রম লকডাউন পরিস্থিতির আওতামুক্ত আছে, এসব কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চলাচলে সুবিধার জন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ চালু করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচা বাজার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা, চাকরি, কৃষিকাজ, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ, ত্রাণ বিতরণ, পাইকারি/খুচরা ক্রয় পর্যটন, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার, ব্যবসা ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে এই পাস। যাদের বাইরে চলাফেরা প্রয়োজন কিন্তু তারা কোনো ক্যাটাগরিতেই পড়েন না, তাদের ‘অন্যান্য’ ক্যাটাগরিতে পাস দেয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
সড়কে কোথাও চলাচলের কারণে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলে এই পাস দেখালেই তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে যেতে দেয়া হবে।
চিত্রদেশ//এস//