আম্পানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড কলকাতা, অন্তত ১২ জনের মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আম্পানের তাণ্ডবে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল লন্ডভন্ড হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই ঝড়ের তাণ্ডবে রাজ্যে অন্তত ১০ থেকে ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন মমতা সাংবাদিকদের বলেন, আম্পানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের খবর মিলছে। কত যে বাড়ি, নদী বাঁধ ভেঙে গেছে, খেত থেকে সব সর্বনাশ হয়ে গেছে, সেই সংখ্যাটা এখনই বলা যাবে না। ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বনগাঁ-হাবড়ায় এখনও তাণ্ডব চলছে। ধ্বংসের পুরো চিত্র বুঝতে ১০-১২ দিন লেগে যাবে। এক দিনে কিছু হবে না।
মমতা বলেন, পাথরপ্রতিমা, নামাখানা, বাসন্তী কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড় সব ধ্বংস হয়েছে। আফটার শক তো থাকেই, ফলে এখনই সব মিটছে না। চলবে এটা মাঝরাত পর্যন্ত। কেন্দ্রের কাছে আবেদন থাকবে, পলিটিক্যালি দেখবেন না, মানবিক ভাবে দেখুন।
তিনি আরও বলেন, পাঁচ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। বিদ্যুৎ নেই, জল নেই, পুকুর, চাষের জমি সব শেষ। দিঘাতে তেমন বেশি হিট করেনি, রাজারহাট, হাসনাবাদ, গোসাবা, সন্দেশখালি, বনগাঁ, বাগদা, হাবড়া- সব সব, চার দিকে সর্বনাশ হয়েছে।
হাওড়ায় ঘরের টিন এসে মাথায় আঘাত করলে হাওড়ায় ১৩ বছরের কিশোরী মারা গেছে। উত্তর চব্বিশ পরগনার মিনাখাঁয় এক নারী গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটেও এক যুবক গাছে চাপা পড়ে মারা গেছে।
গত ৫০ বছরে কলকাতার মানুষ এ ধরনের ঝড় দেখেনি। আম্পানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কলকাতা শহর। ইতিমধ্যে কলকাতাজুড়ে শত শত গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে গোটা শহর। গাছ ভেঙে পড়েছে অলিতে গলিতে।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী, ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে বুধবার বেলা আড়াইটায় পশ্চিমবঙ্গে প্রথম আঘাত হানে আম্পান। পাশাপাশি আঘাত হানে উপকূলীয় সুন্দরবন, হলদিয়া, দিঘাসহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহু এলাকা।
চিত্রদেশ//এস//