কাছের মানুষের ভালোবাসা অনেক সময় যেন জোর করেই চেয়ে নিতে হয়। কারণ কেউ কেউ তার আপন জনকে ভালোবাসা প্রকাশে এত কার্পণ্য আর লজ্জাবোধ করে কেউ তাকে জেলে পুড়বে। আর যে ব্যক্তিটা এই আপন জনের একটু সুন্দর কথা ও আদরের অপেক্ষায় অভিমানে সময় পার করে জীবন পাত করবে তার শুধু আফসোস করেই জীবন শেষ করতে হবে। তাই কারো আদর ভালোবাসা প্রকাশের অপেক্ষায় না থেকে এই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজের ভালোবাসা দিয়ে মানুষটিকে বুঝাতে হবে। হয়তো মানুষটির মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসবে। তা না হলে নিজের অভিমানে নিজেকে গুটিয়ে রেখে প্রিয়জনের হাসি মুখটা দেখা হয়তো হবেনা। মানুষটির ভেতরে হয়তো সে চেতনাটুকু জাগবে না। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছে তাদেরকে আদর ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েও তার ভিতরে কোন চেতনায় জাগানো যায় না। মনে হয় এরা চেতনা শুন্য। এদের অনুভূতি গুলো যে কোথায় প্রবল তা বোঝাও মুশকিল। এইসব মানুষগুলো খুব বাস্তববাদী। আবেগ তাদের কাছে ক্ষেত্র বিশেষ। তারা অন্যদেরকে কাজে লাগায় নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী। কখনও কখনও ভালোবাসা দেখাতে গেলে তারা খুব বাজে ভাবে প্রতিক্রিয়া করে।মানুষগুলোর প্রতি আগ্রহটা ধরে রাখতে খুব মনের জোর রাখতে হয়।হয়তো তখন পরিবেশ বা সামাজিকতা রক্ষার জন্য অনেক কিছুর ভারসাম্য করতে হয় । কারণ মনের ভিতরে যে অন্তর দন্দ চলে তা কাউকে বোঝানো যায় না। কারণ সবাই নিজের জগতেই ব্যস্ত।অন্যের কথা শুনে অনুভূতি প্রকাশের সময় নষ্ট করার ইচ্ছা বা সময় কারো নেই।