শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রচন্ড শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রামের জনপদ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। শীতে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। দিন ও রাতের তাপমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় দিনভর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত নানা রোগে। শীতের প্রভাব পড়েছে কৃষিক্ষেত্রেও। কনকনে ঠান্ডার জবুথবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশু পাখিরাও।
অপরদিকে ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো চাষ। শীতের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে বোরোর বীজতলা।
কৃষকরা জানান, বোরো মৌসুম শুরু হলেও একদিকে কনকনে ঠান্ডায় জমিতে রোপণ করতে পারছেন না চারা। অন্যদিকে কুয়াশায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বীজতলা। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তাদের।
গত এক সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৫৭ জন শিশু।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাসজুড়েই তাপমাত্রা এমন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৩-৪ দিন পরে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
//এস//