প্রধান সংবাদ

ঈদের দিন দেশের সব বাস টার্মিনালে অবস্থান ধর্মঘট

স্টাফ রিপোর্টার:
ঈদুল ফিতরের দিন (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বাস টার্মিনালে অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দেশের সব আন্তঃজেলা বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়ার দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। পূর্ব ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি না মানায় ঈদের দিন এ ধর্মঘট ডাকা হলো।

বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে ঈদের সময় আন্তঃজেলা বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা- এমন দুর্বিষহ দিন কখনোই আসেনি। এ বছর করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এটি করা হলেও কোনো লাভ হয়নি। কারণ, মানুষকে ঘরে আটকে রাখা যায়নি। মানুষ বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বাড়িতে গেছে, ঠেকানো যায়নি। আমরা সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, করোনা সংক্রমণ যাতে না বাড়ে, সে বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাবে। রাজধানী ঢাকা থেকেও একইভাবে গাড়িগুলো পরিচালনা করা হবে। সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু সরকার আমাদের কথা শুনলো না। আমাদের আন্তঃজেলা গাড়িগুলো চালানোর অনুমতি দিলেন না।

তিনি আরও বলেন, সত্যি কথা বলতে লজ্জা নেই। আজ আমাদের অনেকের ঘরেই ভাত খাওয়ার চাল নেই, ঈদের নতুন কাপড় দূরে থাক, এটিই বাস্তবতা। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে টিকে থাকার জন্য সরকারের কাছে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা চেয়েছিলাম। সরকার দেয়নি। শ্রমিকদের জন্য ওএমএস’র চাল চেয়েছিলাম, তাও দেয়নি। সর্বশেষ বাস টার্মিনালে শ্রমিকদের কাছে বিক্রির জন্য ১০ টাকা কেজি দরের চালও চেয়েছিলাম। তাও দেয়নি।

 

এর আগে গত ৮ মে (শনিবার) পাঁচ দফা দাবিসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার যাত্রী এবং পণ্যবাহী পরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। দাবি না মানলে ঈদের দিন সারাদেশে বাস-ট্রাক স্ট্যান্ডে সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ সমাবেশের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত ৬ মে থেকে লকডাউন শিথিল রেখে মহানগর ও জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন পরিচালনার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। কিন্তু দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অথচ বাস-মিনিবাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশায় গাদাগাদি করে মানুষ যাতায়াত করছে। এতে করোনা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে দূরপাল্লার গণ এবং পণ্য পরিবহন চালু করে দিতে হবে।’

চিত্রদেশ//এল//

Related Articles

Back to top button