ভারতীয়দের কাছে বঙ্গবন্ধু একজন বীর: মোদি
ডেস্ক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বুধবার এক টুইট পোস্টে তিনি বলেন, মানবাধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা। সব ভারতীয় নাগরিকের কাছেও তিনি একজন বীর হিসেবে গণ্য হন।
তিনি বলেন, এই মাসের শেষের দিকে ঐতিহাসিক মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সফর করতে পারা আমার জন্য সম্মানের বিষয়।
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় পৃথকভাবে এই টুইট করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, নরেন্দ্র মোদি ২৬ মার্চ ঢাকায় আসবেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ১০ দিনের অনুষ্ঠান ‘মুজিব চিরন্তন’ শুরু হচ্ছে আজ বুধবার।
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ১০ দিনের এই উৎসবে ঢাকায় সশরীরে হাজির হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।
এ ছাড়া চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, ওআইসির মহাসচিব ইউসেফ আহমেদ আল-ওথাইমিন এবং পোপ ফ্রান্সিস ভার্চুয়ালি মুজিব চিরন্তনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। দেবেন ভিডিওবার্তা।
জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আজ ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত দশ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি অতিথিরা অংশগ্রহণ করবেন।
এতে প্রতিদিন পৃথক থিমভিত্তিক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিওভিজুয়াল এবং অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ১৭, ২২ ও ২৬ মার্চ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ১৭, ১৯, ২২, ২৪ ও ২৬ মার্চ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
এই ৫ দিনের অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকারপ্রধানরা সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বঙ্গবন্ধু সারাজীবন এ দেশের মাটি ও মানুষের অধিকার আদায় ও কল্যাণের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য জীবনের ১৪টি বছর পাকিস্তানি কারাগারে বন্দি থেকেছেন, দুবার ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন।
কিন্তু আত্মমর্যাদা ও বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কখনো মাথা নত করেননি, পরাভব মানেননি।
চিত্রদেশ//এফ//