প্রধান সংবাদ

পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত ডা. সাবরিনা

স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ডা. সাবরিনা আরিফকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুরে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখতে ডিএমপির তেজগাঁও উপ-কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন ওরফে ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কথা জানানো হয়েছে।

রোববার অফিস আদেশে বলা হয়েছে. যেহেতু জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার সাবরিনা শারমিন হুসাইন সরকারি চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বিধায় আজ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

যেহেতু সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সরকারের অনুমতি ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান থাকা এবং অর্থ আত্মসাত ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সেহেতু ডা. সাবরিনাকে বিধি অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতাপ্রাপ্ত হবেন।

পুলিশ জানতে পারে, জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনার আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে এর প্রমাণ মিলেছে। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি নেয়া হত সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।

চিত্রদেশ//এফ//

Related Articles

Back to top button