৯ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির পূর্বাভাস
স্টাফ রিপোর্টার:
বেশ কয়েক দিন ধরেই দেশের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী তিন দিন দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। আর আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৯ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
রোববার (২৮ জুন) দেশের নদ-নদীর পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
তাতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিলেট, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে।
অপরদিকে ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্ট বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে ও বিপৎসীমার ওপর অবস্থান করতে পারে।
রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশের ১০১টি পর্যবেক্ষণাধীন পানি স্টেশনের মধ্যে ৮৬টিতে পানি বাড়ছে, ১৩টিতে কমছে এবং ২টি অপরিবর্তিত রয়েছে। তার মধ্যে ১৪টি স্টেশনে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তার মধ্যে ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর গাইবান্ধা পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদীর নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদীর পয়েন্টে ৬৬ সেন্টিমিটার, যমুনা নদীর ফুলছড়ি পয়েন্টে ৫৯ সেন্টিমিটার, যমুনার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৫২ সেন্টিমিটার, যমুনার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার, যমুনার কাজিপুর পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার, যমুনার সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ৬১ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৭০ সেন্টিমিটার, জাদুকাটা নদীর লরেরগড় পয়েন্টে ৯০ সেন্টিমিটার এবং সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের বাংলাদেশ অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শনিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত বাংলাদেশের লরেরগড়ে ৩৬০ মিলিমিটার, লালাখালে ১৭৫, মহেশখোলায় ২৪০, ছাতকে ১৩০, সুনামগঞ্জে ২১৩ এবং জারিয়াঞ্জাইলে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর ভারতের অংশের চেরাপুঞ্জিতে ৫৭২, দার্জিলিংয়ে ৬৯, শিলংয়ে ৮৮ ও কৈলাসরে ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
চিত্রদেশ //এল//