খােজঁ-খবরপ্রধান সংবাদ

৬ শর্তে খুলেছে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্র

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি:

টানা প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর ছয় শর্তে খুলেছে খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র।

জেলার পরিষদ পার্ক, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র , রিছাং ঝর্ণা ও মায়াবিনী লেক সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকদের আসা শুরু হয়েছে।

তবে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না পর্যটকরা। মাস্কছাড়া সামাজিক দূরত্ব না মেনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।

তবে প্রশাসন বলছে, প্রথম দিন কিছুটা শিথিলতা থাকলেও আজ শনিবার থেকে কঠোর হবেন তারা।

করোনাভাইরাসের (কোভিড -১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে গঠিত জেলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার থেকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পর্যটন কেন্দ্রসমূহ পর্যটকদের জন্য শর্তসাপেক্ষে উন্মুক্ত করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্কে বেড়াতে আসা পর্যটকরা জানান, অনেক দিন পর ঘুরতে এসেছি। দীর্ঘ সময় বেড়াতে এসে ভালো লাগছে। তবে এখানে অনেকে মাস্ক পরছেন না। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।

পর্যটন কেন্দ্র সমূহের প্রবেশ মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এছাড়া নেই পর্যটকদের তাপমাত্রা পরিমাপক কোনো যন্ত্র। এতে অসুস্থ ব্যক্তির মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্কের আহ্বায়ক নির্মল চৌধুরী জানান, ৫ মাস পর পর্যটন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য শর্ত দিয়েছি। অনেক পর্যটক পার্কে মাস্ক পরে প্রবেশের পর আবার মাস্ক খুলে নিচ্ছে।

এছাড়া পর্যটকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করা হবে। অসুস্থ কাউকে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

পর্যটন কেন্দ্র খোলার প্রথম দিনে কিছুটা শিথিলতা থাকলেও শনিবার কঠোর হওয়ার কথা বলে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

ট্যুরিস্ট পুলিশের খাগড়াছড়ি ইনচার্জ সন্তোষ ধামাই বলেন, খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কোনো পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ঢুকতে দেয়া হবে না। সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে পর্যটন কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হবে না।

গত সপ্তাহে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করলে বা জেলায় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোনো সময়ে এ অনুমোদন আবার বাতিল করা হতে পারে বলে জেলা প্রশাসনের ওই গণবিজ্ঞপ্তি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১৮ মার্চ থেকে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের প্রবেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় এ অঞ্চলের কর্মহীন হয়ে পড়া আবাসিক হোটেল-মোটেলের চার হাজারের অধিক শ্রমিক, কর্মচারী, পর্যটক গাইড ও সহস্রাধিক পরিবহন ও পরিবহন শ্রমিক আবারও তাদের আয়ের পথ ফিরে পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

চিত্রদেশ//এল//

Related Articles

Back to top button