৪০০ মেট্রিক টন মধু রফতানির অর্ডার পেয়েছে বাংলাদেশ
স্টাফ রিপোর্টার:
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জাপানে আমাদের মধু রফতানি হচ্ছে। এ বছর ৪০০ মেট্রিক টন মধুর অর্ডার পাওয়া গেছে। এটা আমাদের জন্য খুশির খবর। কৃষির আধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণে মধু একটি নতুন সংযোজন, যা আমাদের রফতানি বহুমুখীকরণে সহযোগিতা করবে। আগে মধু সীমিত আকারে উৎপাদন হলেও এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়রি) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) চত্বরে তিন দিনব্যাপী জাতীয় মৌ মেলা-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মেলা উপলক্ষে বিএআরসি অডিটোরিয়ামে ‘পুষ্টি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য মৌচাষ’ বিষয়ক সেমিনারে অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিক্ষেত্রে আমাদের অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দানাদার খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আলুতে আমরা উদ্বৃত্ত রয়েছি। এ রকম আমরা অনেক ফসলে সারপ্লাস রয়েছি। কৃষি পণ্যগুলো প্রক্রিয়াজাত ও মূল্য সংযোজন করে এমন পণ্য উৎপাদন করতে হবে, যেগুলোর বাজারমূল্য অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে মধুও বিদেশে রফতানি করার সম্ভাবনা আছে। যদি আমরা গ্যারান্টি দিতে পারি, আমাদের মধুর মধ্যে দোষণীয় কিছু নেই, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং আধুনিক উপায়ে এটা উৎপাদন করা হয়েছে- তাহলে বিদেশে রফতানি করা যাবে।
ড. রাজ্জাক বলেন, আমাদের যারা মধু উৎপাদনের সাথে জড়িত, তারা অনেক নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন মধু উৎপাদন করছে। এছাড়া বিদেশি অনেক প্রযুক্তির মাধ্যমে মধু উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ করছে। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করতে মধু একটি অনন্য খাদ্য। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে মৌমাছি পালন, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, মৌ চাষ সম্প্রসারণ পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পরাগায়নের মাধ্যমে ফল ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফসলের মাঠে মৌ চাষ কৃষকের জন্য বাড়তি আয়ের সংস্থান করে। মৌ সম্পদের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রসেসিং ও বাজারজাত অপরিহার্য। মূল্যবান মৌ সম্পদ এবং মধু উৎপাদন ও বিপণনের মাধ্যমে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। কৃষির সম্ভাবনা অনেক বেশি। কৃষির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ও রফতানি বহুমুখীকরণের মাধ্যমে মুজিববর্ষ হবে সমৃদ্ধির বছর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ও বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।
চতুর্থবারের মতো এ মেলার আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয়। এবারের মেলায় সরকারি ছয়টি ও বেসরকারি ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৭৪টি স্টল রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।
চিত্রদেশ //এইচ//