প্রধান সংবাদশিক্ষা

৩০ মার্চ খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার:
পবিত্র শবে বরাতের ছুটি ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। ফলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ খুলছে না কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ওইদিন রাতে সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও প্রাক-প্রাথমিক খুলছে না। এ বিষয়ে পরে জানিয়ে দেয়া হবে বলে তিনি জানান। তবে পঞ্চম শ্রেণি, ১০ম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হবে। অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।

এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর স্কুল খুলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়। ফলে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর স্কুল-কলেজ খোলার আগে শিক্ষকদের টিকাগ্রহণ বাধ্যতামূলক করেছে দুই মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৮৫ ভাগ শিক্ষক করোনা টিকার আওতায় এসেছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

কিন্তু সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জনমনে আবারো প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন স্কুল-কলেজ খোলা হলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। সোমবার ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ কার্যক্রমের ঘোষণা দিয়েছে। এবারো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের কোন ধরণের নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলেও শিক্ষা বোর্ড থেকে জানিয়ে দেয়া হয়।

এরইমধ্যে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শবে বরাতের ছুটি ২৯ তারিখ এর পরিবর্তে ৩০ মার্চ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়, মিনিস্ট্রি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এ ৩৭ নম্বর ক্রমিকে বিধানে বর্ণিত প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ছুটি নির্ধারিত তারিখ ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ নির্ধারণ করা হলো।

যেসব অফিসে সময়সূচী ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক চাকরি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি পুনর্নির্ধারণ করবে। এর ফলে ৩০ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আর কোনো সুযোগ থাকলো না।

চিত্রদেশ//এসএইচ//

 

Related Articles

Back to top button