২৯ ভাগ কমিয়ে চামড়ার দাম নির্ধারণ
স্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চমড়ার দাম ২৩ থেকে ২৯ শতাংশ কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। লবণযুক্ত চামড়ার দাম ঢাকাতে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া ১৩-১৫ টাকা আর বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা।
গত বছর এ দাম ছিল যথাক্রমে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা ও ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। সে হিসেবে দাম কমেছে ঢাকায় ১০ টাকা ও ঢাকার বাইরে ৮ টাকা।
আজ রোববার (২৬ জুলাই) ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত জুম প্ল্যাটফর্ম সভার শুরুতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কথা জানান।
সভায় কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ, ক্রয় বিক্রয়, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, মজুদ, চামড়ায় লবণ লাগানো ও মিডিয়ায় প্রচারের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর ঢাকাতে গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ১৩ থেকে ১৫ টাকা ও বরকির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকা ধরা হয়েছে। চামড়া নিয়ে যদি কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে প্রয়োজনে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কাঁচা চামড়া পরিবহনে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, এবারও যদি চামড়ার দামে সমস্যা দেখা যায় তাহলে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট-ব্লু লেদার বা আংশিক প্রক্রিয়াজাত চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে। এবার যেন কিছুটা দাম পাওয়া যায় সেজন্য কাঁচা চামড়া ও ওয়েট-ব্লু লেদার বা আংশিক প্রক্রিয়াজাত চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনই রপ্তানির ঘোষণা দেয়া হয়নি। বরং চামড়া নিয়ে যদি গতবারের মতো সমস্যা হয় তাহলে রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হবে। এজন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি রপ্তানির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে পশুর কাঁচা চামড়া নির্ধারিত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয়, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, মজুত এবং চামড়ায় প্রয়োজনীয় লবণ লাগানো তদারকিতে একটি কমপ্রেহেন্সিভ মনিটরিং প্ল্যান গ্রহণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ প্ল্যান বাস্তবায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় যৌথ সমন্বয় কমিটি, কেন্দ্রীয় সমন্বয় ও মনিটরিং কমিটি, কন্ট্রোল রুম, ঢাকা ও নাটোর জেলার জন্য বিশেষ মনিটরিং টিম, বিভাগীয় ও জেলার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন দফতর/সংস্থার সমন্বয়ে মনিটরিং টিম এবং সব জেলা পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ টিম কাজ করবে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে শনিবার (২৫ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুবিভাগ প্রধান, বিভিন্ন দফতর/সংস্থার প্রধান এবং রফতানি অনুবিভাগের সব কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ওয়ার্কশপে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিত্রদেশ //এস//