সড়কে পশুহাট বসতে দেয়া হবে না
স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন থেকে ইজারা দেওয়া নির্ধারিত জায়গায় পশুহাট বসাতে হবে। সড়কে পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না। এছাড়া পশুহাটে কোন প্রকার ভ্রাম্যমাণ দোকান বা হকার বসতে দেওয়া যাবে না।
বুধবার ডিএমপির সদর দপ্তরে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, পশুহাটে খাবারের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে মানুষকে অজ্ঞান করা হয়। এক্ষেত্রে হাট ইজারাদাররা হাটে স্থায়ী খাবার দোকান ও টি স্টল বসাবেন। যে ব্যক্তিকে হাটে স্থায়ী খাবার দোকান দেওয়া হচ্ছে, তার পরিচয় থানায় জমা দিতে হবে ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। প্রত্যেকটি হাটে থাকবে অস্থায়ী পুলিশের কন্ট্রোল রুম, ওয়াচ টাওয়ার ও জালটাকা শনাক্তকরণ মেশিন।
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি হাটের নামে অনলাইনে পশুহাটে কুরবানির পশু বিক্রি করতে পারলে ভালো হয়। এতে নিরাপদে পশু কেনা যাবে। হাট কর্তৃপক্ষ অনলাইনে বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা এড়াতে পারবেন। হাট ছাড়া কেউ বাহির থেকে অনলাইনে গরু কিনে আনলে তার থেকে কোন প্রকার হাসিল নেওয়া যাবে না।
কমিশনার বলেন, পশু বেচাকেনার টাকা নিরাপদ রাখতে হাটে ব্যাংকের অস্থায়ী বুথ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গরু বহনকারী ট্রাকগুলোকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে ক্রাইম বিভাগের সকল উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) কে নির্দেশ দিয়ে কমিশনার বলেন, গরু নিয়ে হাটে আগত ট্রাকগুলো শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে হবে। গাড়ির নম্বর ও ড্রাইভারের নাম পরিচয় এবং তার ছবি তুলে পুলিশের কাছে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। যাতে করে ড্রাইভারকে দ্রুত সনাক্ত করা যায়।
বাস মালিকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে কমিশনার বলেন, দেখা যায় করোনায় আক্রান্তরা ঢাকা থেকে যাচ্ছেন ও আসছেন। এতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। কোন যাত্রীর কাশি ও জ্বর থাকলে গাড়িতে উঠতে দিবেন না। যাত্রী সাধারণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতায়াত করার জন্য পরামর্শ দেন ডিএমপি কমিশনার।
কমিশনার বলেন, ঈদ ও তার পরবর্তী সময় নগরীর দোকান পাট, বাসা-বাড়ি, ব্যাংক ও বিপণি বিতানগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলস্টেশন কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার থাকবে। মার্কেটে ক্রেতা ও বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। আমরা আশা করি সবাই চেষ্টা করলে ভালোভাবে ঈদুল আজহার সকল আয়োজন শেষ করতে পারবো। এছাড়া কোরবানির পশুর চামড়াও পাচার রোধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিত্রদেশ//এস//